Image description

নীলফামারীর উত্তরা কৃষি ইপিজেডে যৌথবাহিনী কর্তৃক শ্রমিককে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে এনসিপির শ্রমিক উইংয়ের পক্ষ থেকে প্রতিবাদী বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

 

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলামোটরে এনসিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় রুপায়ন টাওয়ারের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে সাকুরার মোড় ঘুরে আবারও রুপায়ন টাওয়ারের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক রিয়াজ মোর্শেদ বলেন,  নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে শ্রমিকদের নিরীহ আন্দোলনে যৌথবাহিনী আতর্কিত হামলা কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়। আমরা মনে করি দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর সদস্যদের সাথে এই আচরণ যায় না। ১৯৭১ ও ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে সাধারণ সেনা সদস্য ও অফিসারদের সাথে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের আচরণ এক নয়।

বক্তারা আরও বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা আশা করেছিলাম শ্রমিকেরা ন্যায্য অধিকার পাবে।‌ অথচ নীলফামারী উত্তরা কৃষি ইপিজেডে আমাদের গৌরবের সেনাবাহিনীর গুলিতে যখন আমাদের শ্রমিক মারা যায় এটা আমাদের জন্য লজ্জার।

সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন একটি অংশ মনে হয় ভারতের উদ্দেশ্য সার্ভ করছে। তাই তারা সেনাবাহিনীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যেই কর্মকর্তারা গুলির নির্দেশ দিয়েছে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেটি পাওয়ার দেয়া হয় তআইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নের জন্য। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে কিছু করতে না পারলেও শ্রমিকদের উপর গুলি চালিয়েছে। ক্যান্টনমেন্ট থেকে কোন খাদ্যপণ্য উৎপাদন হয় না। উৎপাদন করে শ্রমিকেরা আর সেখান থেকে সেনাবাহিনীর বেতন হয়।

সমাবেশপূর্ব বিক্ষোভ মিছিলে , এক হও, লড়াই করো।  আমার টাকায় খায় পড়ে, আমার বুকে গুলি করে। নো মোর মিলিটারি, ব্যারাকে যাও তাড়াতাড়ি।  ইপিজেড ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই । আমার টাকায় গুলি কিনে, আমার বুকে গুলি করে।  ইনকিলাব জিন্দাবাদসহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেয়  এনসিপির নেতাকর্মীরা।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে এনসিেির শ্রমিক উইংয়ের পক্ষ থেকে সরকারের সাত দফা দাবি জানানো হয়।

দাবিগুলো হচ্ছে : শ্রমিকদের সকল নায্য দাবি মেনে নিতে হবে। নিহত শ্রমিকের পরিবারকে পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আহত শ্রমিকদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করে তাদেরকে পুনর্বাসন করতে হবে। এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে শ্রমিকদের উপর কোনরকম হয়রানি ও মিথ্যা মামলা দেওয়া যাবে না।

গুলির নির্দেশদাতাকে শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। মানুষের প্রাণনাশ ঘটে এমনকোন সর্বনাশা অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া যাবে না।

বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব জয়নাল আবেদিন শিশির, যুগ্ম আহ্বায়ক শাহরিয়ারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।