
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান বলেছেন, আজকে যখন জুলাই ঘোষণায় ৭১-এর কথা আসে, ওই বন্ধুরা যারা ৭১-এ বাংলাদেশ চায়নি, তাদের খারাপ লাগে। তারা হতাশা প্রকাশ করেন। আরে ভাইয়েরা যতই হতাশা প্রকাশ করেন তাদের বলতে চাই- এই বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশ লাল-সবুজের পতাকার বাংলাদেশ।
তিনি আরও বলেন, আপনারা যারা চাননি তাদের ৭১-এর কথা শুনলে হতাশা লাগে। আপনারা জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে নির্বাচনে আসুন। পিআরের কথা বলেন আবার ৩০০ আসনেই নমিনেশন দেন। কেমন ধরনের দ্বিচারিতা আপনাদের মাঝে। ওই দ্বিচারিতা মানুষ বুঝে। এটা বাংলাদেশের সঙ্গে গণতন্ত্রের সঙ্গে প্রতারণা। যদি পিআরই চান তাহলে ঐকমত্য কমিশনে একমত প্রকাশ করলেন কেন। যে নিম্ন আদালতে পিআরের প্রয়োজন নেই। আর মাঠে এসেই মাঠ গরম করার চেষ্টা করেন।
সোমবার দুপুরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শহরের শহিদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আহমেদ আযম খান এসব কথা বলেন।
জেলা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে তিনি বলেন, তারা ৭১ সালে বলেছিল, পাকিস্তান আমাদের দেশ, আমরা বাংলাদেশ হতে দেব না। সেদিন বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষ মেজর জিয়ার ঘোষণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে রণাঙ্গনে নেমেছিল ও সমর্থন দিয়েছিল। যারা বলেছিল, পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ হতে দেবো না, তাদের সমুচিত জবাব দিয়ে মেজর জিয়ার নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা বুক চিতিয়ে লড়াই করে এই বাংলাদেশ টা স্বাধীন করেছিল।
তিনি আরও বলেন, ২০১৭ সালে বেগম খালেদা জিয়া জাতির স্বার্থে ভিশন ২০৩০ ঘোষণা করেছিলেন। বিএনপিকে সংস্কার শেখাতে আসেন, দয়া করে ওই ভুল কাজটি করবেন না। বিএনপি সবার আগে সংস্কারের কথা বলেছেন। বিচার প্রক্রিয়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শুরু হয়েছে। এটা চলতে থাকবে। এটা এক-দুই দিনের বিষয় নয়। এক যুগ বিচার হবে। তারপর পরবর্তীতে মানবতার শত্রুদের শাস্তি দেওয়া যাবে। তাহলে কি আমরা এক যুগ অনির্বাচিত সরকারের অধীনে থাকব।
আহমেদ আযম খান বলেন, আসলে আপনার নির্বাচন চান না, আপনারা জনগণকে ভয় পান। যারা জনগণকে ভয় পায়, তারা গণতন্ত্র ও নির্বাচন চায় না। আমরা ৭১ এ যেমন মেজর জিয়াউর রহমানের ঘোষণায় বুক চিতিয়ে লড়াই করেছি। ঠিক তেমনি ২৫ আমরা গণতন্ত্র ও নির্বাচনের জন্য বুক চিতিয়ে রাস্তায় থাকব। আমাদেরকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। আজকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শপথ, এ দেশের মানুষের ভোটের অধিকার, মানবাধিকার, তাদের সার্বিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব। আর গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠার জন্য শত বাধার মুখে শত ষড়যন্ত্রের মুখে উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলাদেশ নির্বাচন হবে।
এ সময় কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবালসহ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে শহীদ মিনার থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।