Image description

গুপ্ত সংগঠনের নেতাকর্মীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের বেশ ধরেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক সাহেদ আহম্মেদ। তিনি বলেছেন, প্রকৃত সাধারণ শিক্ষার্থীরা সবাই ক্লাস পরীক্ষায়, তারা কেও কোথাও মব সৃষ্টি করছে না, বিশৃঙ্খলা করছে না। সাধারণ শিক্ষার্থী ছদ্মনাম ব্যবহার করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কলঙ্কিত করা যাবে না। 

সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপর স্থানীয় ও বহিরাগত সন্ত্রাসীদের হামলা এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের উপর গুপ্ত সংগঠনের হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। চবি প্রশাসন, কৃষি প্রশাসন ও রাবি প্রশাসন উদ্ভুত সমস্যার দ্রুত সমাধান করতে ব্যর্থ হয়েছে উল্লেখ করে উক্ত প্রশাসনের পদত্যাগেরও দাবি করেন তিনি।

সাহেদ আহম্মেদ বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নবীন শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের দাবিতে, রাকসু নির্বাচনে তারা যেন ভোটার হতে পারে সেই দাবি আদায়ে ছাত্রদলের কর্মসূচিতে হামলা করেছে গুপ্ত সংগঠনের নেতাকর্মীরা৷ তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের বেশ ধরেছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের নামে ব্যানার ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। যাদের ব্যক্তিগত সংগঠন আছে তাদের নিজস্ব ব্যানার ব্যবহার করতে হবে। 

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সাজিদ হত্যার খুনিরা যেন ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়াতে না পারে। যত দ্রুত সম্ভব সাজিদের খুনিদের গ্রেফতার করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থী যেন নিরাপদে ক্যাম্পাসের চলাফেরা করতে পারে। কে কোন পোশাক পড়বে, কে কীভাবে চলবে ফিরবে, কে হেজাব পড়বে, কে সাধারণ ড্রেস পড়বে তা ব্যক্তিগত বিষয়, এতে কারো হস্তক্ষেপ করা চলবে না। আবাসিক হলগুলো যেন দখল করা না হয়৷ অর্থ সংকটের নাটক বন্ধ করুন, অতিদ্রুত ক্যাম্পাসের নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত লাইট ও  সিসিটিভি বৃদ্ধি করুন নইলে আমরা আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।

এদিন মিছিলে শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক সাহেদ আহম্মেদের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন সদস্য সচিব মাসুদ রুমি মিথুন, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার পারভেজ, যুগ্ম আহবায়ক আহসান হাবীব, আনারুল ইসলাম, রোকনউদ্দিন, সদস্য সাব্বির হোসেন, রাফিজ আহমেদ, নুর উদ্দিন, কর্মী রোকন, স্বাক্ষর, উল্লাস, তৌহিদ, আলামিন, মোহাম্মদ আলী, রেজাউল রাকিব সহ শতাধিক নেতাকর্মী।