
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে রুমমেটকে আহত করার ঘটনার জেরে সৃষ্টি হওয়া উত্তেজনায় এবার হামলার শিকার হয়েছেন ডাকসুর ভিপি পদপ্রার্থী ও বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ওয়াহেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী এবং মাস্টার দা সূর্যসেন হলের আবাসিক।
এর আগে একই রাতে মুহসীন হলের ৪৬২ নম্বর কক্ষে জালাল আহমদ (টেলিভিশন, ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগ) ও তার রুমমেট রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রবিউল হকের মধ্যে কথা কাটাকাটি থেকে সংঘর্ষ বাধে। এতে রবিউল আহত হয়ে মেডিকেলে ভর্তি হন। এরপর উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা জালালের কক্ষের সামনে অবস্থান নেন।
এসময় জালাল দরজা বন্ধ করে নিজেকে ভেতরে আটকে রাখেন। তার আত্মহত্যার আশঙ্কা করে আবদুল ওয়াহেদ ফেসবুকে পোস্ট দেন, যাতে তিনি লেখেন— আইন নিজের হাতে না তুলে দিয়ে জালালকে উদ্ধার করে প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হোক।
কিন্তু এই পোস্ট এবং পরে শিক্ষার্থীদের মারধর থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করায় কিছু উত্তেজিত শিক্ষার্থী ওয়াহেদের ওপর হামলা চালায়। অভিযোগ অনুযায়ী, তার ওপর এ আক্রমণ ঘটে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশের উপস্থিতিতেই।
ওয়াহেদ জানান, “আমি শুধু বলেছিলাম, জালাল যদি আত্মহত্যা করে বসে, তাহলে দায় কার ওপর যাবে? তাই আমি প্রশাসনের উপস্থিতিতে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসার আহ্বান জানিয়েছিলাম। কিন্তু আমার এই অবস্থানের কারণেই কয়েকজন আমাকে রুমের সামনে মারধর করে।”
তিনি আরও বলেন, “জালাল যদি দোষী হয়, তবে তার শাস্তি আইন অনুযায়ী হোক। কিন্তু মারধর কোনো সমাধান নয়।”