
চাঁদপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির উপদেষ্টা আজম খানের বাসভবনে হামলা, ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত শহরের কুমিল্লা সড়কের সিংহপাড়া এলাকায় ৩ দফা হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ঐদিন রাতেই জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপি নেতা আজম খান।
তিনি অভিযোগ করেন, জেলা বিএনপির একটি অংশের নেতা–কর্মী পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালিয়েছে। এ সময় তাঁর বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয় এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তিনি দাবি করেন, এ ঘটনায় অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে কয়েকজন সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
আজম খান বলেন, আমি বাসায় থাকাকালে হঠাৎ বিকট শব্দ শুনতে পাই। বাইরে এসে দেখি কিছু লোক ইটপাটকেল নিক্ষেপ করছে। তারা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ছবি ভাঙচুর করেছে, জানালার গ্লাস ভেঙেছে, আমার প্রাইভেট কার ও ভাড়াটিয়াদের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে। কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে গেছে। এমনকি আমার পায়েও ইট এসে আঘাত করে।
যাদের কাছে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের ছবিই নিরাপদ নয়, তাদের কাছে বিএনপি কীভাবে নিরাপদে থাকবে।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, এ হামলায় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের কিছু অসংগঠিত কর্মী জড়িত ছিলেন। তাঁর ভাষায়, “আমি কখনোই এই আসন থেকে মনোনয়ন চাইনি। শুধু খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নির্দেশে দলের ৩১ দফা প্রচারণা চালিয়ে আসছি। যাঁরা এতদিন সংগঠিত ছিলেন না, তাঁদের পুনরায় সংগঠিত করার কাজ করছি। এজন্যই একটি পক্ষ হামলা করেছে।
এ ঘটনায় যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সলিম উল্লাহ সেলিম ও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহজালাল মিশনের ফোন বন্ধ পাওয়া যায় বা তারা ফোন রিসিভ করেননি।
এদিকে বিকেল পর্যন্ত শহরের প্রবেশমুখে বিএনপি নেতা–কর্মীদের অবস্থান করতে দেখা গেছে। বিশেষ করে চাঁদপুর–ফরিদগঞ্জ সড়ক, চাঁদপুর–হাইমচর সড়ক ও ওয়ারলেস মোড়ে দলীয় কর্মীদের মোতায়েন ছিল। স্থানীয়রা জানান, বিকেলেও সিংহপাড়া এলাকায় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়, তবে এতে কেউ আহত হননি।
চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. লুৎফুর রহমান জানান, “বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।