
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান অভিযোগ করেছেন, দেশের কিছু সাংস্কৃতিককর্মী এখনো স্বৈরাচারের জন্য মায়া কান্না করছে। তিনি বলেন, যাদের সমাজকে সত্য, ন্যায় ও সৌন্দর্যের শিক্ষা দেওয়ার কথা, তারা আজ বিভক্ত হয়ে স্বৈরাচারী সরকারের পক্ষে দাঁড়িয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সেলিমা রহমান বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি গত এক বছর ধরে আমাদের কিছু শিল্পী সমাজ একত্রিত হয়ে সেই স্বৈরাচারের জন্য মায়া কান্না করছে। এটা দুঃখজনক। শিল্পীরা সব সময় সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে থাকবেন— এটাই স্বাভাবিক ছিল। অথচ আজকের বিভাজন প্রমাণ করছে, কেউ কেউ জনসাধারণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সুবিধাভোগী গোষ্ঠীতে পরিণত হয়েছেন।’
তিনি অভিযোগ করেন, অতীতে স্বৈরাচারী সরকার সাধারণ মানুষকে দমন করেছে, শিশুদের হত্যা করেছে, বিরোধী মতের মানুষদের কারাগারে নির্যাতন করেছে। অথচ সেইসব শিল্পীরা তখন নীরব থেকেছেন।
২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির এই নেতা বলেন, ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে সেই স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটেছে। কিন্তু তারা এখনো নানা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করে সেলিমা রহমান বলেন, “বেগম খালেদা জিয়া মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করেও কখনো আপস করেননি। তারেক রহমানও বিদেশ থেকে আন্দোলনকে সফল নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাদের লক্ষ্য কেবল জনগণের অধিকার ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা।”
শিল্পীদের উদ্দেশে তিনি আহ্বান জানান, শিল্পচর্চার মাধ্যমে জনগণের সত্যিকারের জীবন ও অধিকার তুলে ধরার জন্য। একই সঙ্গে প্রতিবাদী শিল্পী সমাজকে সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকার আহ্বান জানান।
মানববন্ধন শেষে কর্মসূচি ঘোষণা করেন জাসাসের যুগ্ম আহ্বায়ক ও গীতিকার ইথুন বাবু। তিনি বলেন, আগামী ২১ দিনের মধ্যে শিল্পকলা একাডেমি ও সচিবালয় থেকে “কালচারাল ফ্যাসিস্টদের” সরানো না হলে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি দেওয়া হবে।
এ সময় সাংস্কৃতিক কর্মী শিবা শানুসহ নাট্য, অভিনয় ও চলচ্চিত্র অঙ্গনের অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা