
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করার দাবি জানিয়েছেন ৪ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক প্যানেলের সমাজসেবা সম্পাদক পদপ্রার্থী এবি জুবায়ের। রবিবার (২৪ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য এবি জুবায়ের ডাকসু কেন্দ্রীক কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো-
ভোটকেন্দ্র পুনর্বিন্যাস করে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল, কবি জসীম উদ্দিন হল ও শেখ মুজিব হলের কেন্দ্র ল্যাবরেটরিতে এবং কুয়েত-মৈত্রী হল ও ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের কেন্দ্র সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা ; মনোনয়নপত্র সংগ্রহের শুরু থেকে এ পর্যন্ত যে সকল প্রার্থী নিয়মভঙ্গ বা আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা; ভোটদানের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনো আলাদা আইডি নির্ধারণ না করে বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো বৈধ পরিচয়পত্র দিয়েই ভোট প্রদানের সুযোগ রাখা; প্রার্থীদের মূল নামের পাশাপাশি তাদের পরিচিত ডাকনামও ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া; ব্যালট পেপারে প্রার্থীর নাম ও নম্বরের পাশাপাশি ছবি সংযুক্ত করা; নারী প্রার্থীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হেনস্তা ও সাইবার বুলিং থেকে সুরক্ষা দেওয়ার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা; কোনো মাদকাসক্ত প্রার্থী যাতে নির্বাচিত হতে না পারে, সে জন্য বাধ্যতামূলক ডোপ টেস্টের ব্যবস্থা করা; কেন্দ্রীয় সদস্য সম্পাদক আশিক খান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় আজও বহিরাগতদের জন্য উন্মুক্ত এক পার্কে পরিণত হয়েছে। অথচ প্রশাসন কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না।
জুবায়ের বলেন, নির্বাচনের সময় যত ঘনিয়ে আসছে, এ অব্যবস্থা ততই নির্বাচনের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, অভ্যুত্থানের ঘটনায় হামলাকারী ফ্যাসিবাদী শিক্ষকরা এখনও স্বপদে বহাল আছেন। এমনকি ডাকসু নির্বাচনে তাদের দায়িত্ব দেওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। এ অবস্থায় একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই দ্রুত এসব চিহ্নিত শিক্ষকদের বিচারের আওতায় আনা জরুরি বলে তিনি দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মুহাম্মদ ও কেন্দ্রীয় সদস্য সম্পাদক আব্দুর রহমান আল ফাহাদ।