Image description
 

বিচারককে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) ও জেলা জামায়াতের রুকন (সদস্য) অ্যাডভোকেট মো. রুহুল আমিনকে দলীয় দায়িত্ব থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। একইসঙ্গে অভিযোগ তদন্তে গঠন করা হয়েছে পাঁচ সদস্যের কমিটি।

বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) রাতে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম আল কায়ছারীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে সংবাদ মাধ্যমে পেশাগত অনিয়মের খবর প্রকাশের পর জেলা ও পৌর জামায়াত নেতারা জরুরি সভায় বসেন। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তার সদস্যপদ সাময়িকভাবে স্থগিত করে তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম আল কায়ছারী বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন সূত্র থেকে বিষয়টি জেনেছি। সরাসরি নিশ্চিত না হলেও জেলা আইনজীবী সমিতি যেহেতু তার সদস্যপদ স্থগিত করেছে তাই আমরাও একই পদক্ষেপ নিয়েছি। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন হাতে আসার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।’

কলাপাড়ায় সংঘটিত একটি সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আসামির জামিন নিশ্চিত করতে বিচারকের বাসায় ৫০ হাজার টাকা ও মামলার নথি পাঠানোর অভিযোগ ওঠে রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে। এছাড়া হোয়াটসঅ্যাপে জামিনের জন্য তিনি বিচারকের কাছে তদবির করেন বলেও অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ট্রাইব্যুনালের বিচারক নিলুফার শিরিন বার কাউন্সিলের সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।