Image description

মানিকগঞ্জের সাতটি বালুমহালের নামে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান না চালানোর শর্তে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) লোকাল রিলেশন্স (এলআর) ফান্ডে বালু ব্যবসায়ীরা সাড়ে তিন কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

ডিসির এলআর ফান্ডে ৫০ লাখ টাকা দেয়ার কথা স্বীকারও করেছেন এক বালু ব্যবসায়ী। এ সংক্রান্ত একটি অডিও রেকর্ড এসেছে এই প্রতিবেদকের কাছে। অডিও রেকর্ডে তার ‘ক’ ও ‘খ’ বালুমহাল থেকে ডিসির এলআর ফান্ডে ৫০ লাখ টাকা অনুদান দেয়ার স্বীকারোক্তি রয়েছে। 

এসব অনুদান দেয়ার ফলে বালু ব্যবসাীয়রা আইন অমান্য করে বালু উত্তোলন করলেও কার্যকর ব্যবস্থা বা অভিযান পরিচালনা করে না প্রশাসন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক বালু ব্যবসায়ী এই প্রতিবেদককে বলেন, “ডিসির এলআর ফান্ডে ৫০ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে।”

এছাড়া হরিরামপুরের লেছড়াগঞ্জ, শিবালয়ের তেওতা ও দৌলতপুরের রাহাতপুর থেকে এক কোটি টাকা করে দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। একই সাথে ঘিওরের শ্রীধরনগর এলাকার বালুমহাল থেকেও ডিসির এলআর ফান্ডে মোটা অঙ্কের টাকা অনুদান নেয়া হয়েছে বলে দাবি করেন এলাকাবাসী।

এদিকে, জেলার বিভিন্ন এলাকায় নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে ও নদী ভাঙন রোধে এলাকাবাসী একাধিক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করলেও কর্ণপাত করেনি প্রশাসন। ফলে চরাঞ্চলের মানুষ হতাশা ও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরেও জেলার ঘিওর উপজেলার শ্রীধরনগর এলাকায় বালুমহাল বন্ধ ও ডিসির অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

বিষয়টি জানতে জেলা প্রশাসক ড. মো. মানোয়ার হোসেন মোল্লার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে নিয়মিত আমাদের অভিযান চলছে। আর মানুষ আন্দাজে অনেক কথাই বলতে পারে। এসব আমার জানা নেই।

শীর্ষনিউজ