Image description

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও পীর সাহেব চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ উলামায়ে কেরামদের পরামর্শ নিয়েছে। আল্লাহ যদি কবুল করেন, আমরা যেন ইসলামের পক্ষে একটা বাক্স পাঠাতে পারি। সেই লক্ষ্যে আমাদের কার্যক্রম চলছে, আল্লাহর রহমতে সাড়া ভালো।

বুধবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে ফরিদপুর শহরের গেয়ালচামট এলাকার বীরশ্রেষ্ঠ আব্দুর রউফ পৌর মিলনায়তনে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের জেলা শাখার মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘ইসলামপন্থীদের ঐক্যভাবনা ও উলামায়ে কেরাম তাওহিদি জনতার করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা সৈয়দ শামসুল হক। প্রধান বক্তা ছিলেন পরিষদের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি মাওলানা রেজাউল কারীম আবরার।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ৫৩ বছরে ইসলামকে রাষ্ট্রক্ষমতায় নেওয়ার এই সুযোগ আগে আসেনি। যদি আমরা এখন সুযোগ কাজে না লাগাই, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের ধিক্কার দেবে।

মুফতি রেজাউল করীম বলেন, এখন আমার ভাইদের বলবো— যখন আল্লাহ সুযোগ দিয়েছেন, আমরা যেন এ সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারি। 

আমাদের এক হয়ে কাজ করতে হবে, আর বিদেশ যেন আমাদের গোলাম বানিয়ে রাখতে না পারে। আমরা স্বাধীন দেশ হিসেবে মানবতার কল্যাণে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চাই। পীর সাহেব চরমোনাই সব ইসলামি দলকে ঐক্যের ডাক দিয়ে বলেন, এখনই সুযোগ এসেছে ইসলামি শাসন কায়েমের। এই দেখে ফ্যাসিস্ট চরিত্র ও চাঁদাবাজরা সহ্য করতে পারছে না। তারা উলামাদের ও চরমোনাইয়ের বিরুদ্ধে লেগেছে। বিশেষ করে যাদের ডাকে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে, তাদের সমালোচনা করছে। কিন্তু তারা ১৫ বছরে বালু ভর্তি একটি ট্রাকও সরাতে পারেনি।

নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন হতে হবে পিআর পদ্ধতিতে। এতে প্রতিটি ভোটারের মূল্যায়ন হয়, এলাকায় সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, গুন্ডা তৈরি হয় না, সব দলের প্রতিনিধি সংসদে যাওয়ার সুযোগ থাকে। এ পদ্ধতিতে ফ্যাসিস্ট চরিত্র গড়ে ওঠে না।

মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য আব্দুত তাওয়াব, জেলা জামায়াতের  আমির বদরুদ্দীন, প্রবীণ আলেম শাহ আকরাম আলী, হেলালুদ্দিন আহমেদসহ বিভিন্ন ইসলামপন্থি দলের নেতৃবৃন্দ।