Image description

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির (চরমোনাইর পীর) সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, আমাদের দৃশ্যমান সংস্কার দেখাতে হবে। খুনিদের, জালেমদের, টাকা পাচারকারীদের দৃশ্যমান বিচার আমরা দেখব এরপর পিআর পদ্ধতিতেই নির্বাচন হতে হবে। সরকার নির্বাচনের ঘোষণা দিলেও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হয়নি। রাস্তাঘাটে যে ধরনের তাণ্ডব দেখছি। সোহাগের মতো ছেলেকে পাথর মেরে দিয়ে নির্মমভাবে মারা হচ্ছে। সাংবাদিকরাও নিরাপত্তা পাচ্ছে না।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) মাগুরা শহরের নোমানী ময়দানে মাগুরা জেলা ইসলামী আন্দোলন আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

চরমোনাই পীর বলেন, বর্তমানে প্রচলিত পদ্ধতিতে দেশের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভোট নিয়েই সরকার গঠন করা যায়। সেখানে ৬০ থেকে ৭০ ভাগ মানুষের মতামত উপেক্ষিত থাকে। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে সংসদে সব দলের প্রতিনিধিত্ব থাকবে। কেউ স্বৈরাচার, ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে পারবে না।

 

বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে মাগুরা-১ আসনে নাজিরুল ইসলাম ও মাগুরা-২ আসনে মোস্তফা কামালকে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী ঘোষণা করা করেন রেজাউল করীম।

সিলেটের ভোলাগঞ্জে বেপরোয়া পাথর উত্তোলনের ঘটনায় উৎসাহদাতা হিসেবে ইসলামী আন্দোলনের শীর্ষনেতাদের নামও সামনে আসছে। সমাবেশে শেষে এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে চরমোনাই পীর বলেন, সিলেটে ভোলাগঞ্জে ধলাই নদীর উৎস মুখ থেকে সাদা পাথর উত্তোলনের ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমি উপদেষ্টাবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করব। সেখানে পাথর উত্তোলন বন্ধ রাখাটা আমাদের দেশের জন্য কতটুকু কল্যাণ সেটা আমি দেখি না। বরঞ্চ সেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবিকা নির্বাহ হয়।

 

সেখানে যেন কোনো লুটতরাজ না হয় এই ব্যাপারটি সরকার দেখবে বলে আশা রাখেন তিনি।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মাগুরা জেলা শাখার আমির মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মাগুরা জেলা শাখার সহ-সভাপতি মাওলানা নাজিরুল ইসলাম, মাওলানা মশিউর রহমান, সেক্রেটারি হাফেজ মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান, মাগুরা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির এমবি বাকেরসহ আরও অনেকে।