
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এসএম জিলানী বলেছেন, ‘আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে আমরা একটি জাতীয় নির্বাচনের মুখোমুখি হতে যাচ্ছি। যেটা আমাদের পার্টির চেয়ারম্যান আরো আগে জানিয়েছেন। কিন্তু একটি গোষ্ঠী নতুন করে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র ও তাল-বাহানা করছে। বিশেষ করে এই বট বাহিনী বাংলাদেশের মানুষের কাছে বেহেশতের টিকেট বিক্রি করে থাকেন। বিএনপিকে হেয় করার জন্য তারা নানা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। তারা ফেসবুকে ফেইক আইডি খুলে নানাভাবে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে।’
শুক্রবার (৮ আগস্ট) দুপুরের দিকে ভোলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমি হল রুমে জেলার তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এস এম জিলানী বলেন, বৃহস্পতিবার গাজীপুরে ছিনতাইয়ের ভিডিও ধারণ করায় একজন সাংবাদিককে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। অথচ যারা বেহেশতের টিকেট বিক্রি করে থাকেন তারা হঠাৎ করে ফেইক আইডি দিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন যে, বিএনপি চাঁদাবাজি করতে গিয়ে সাংবাদিক হত্যা করেছে। একইভাবে এই বট বাহিনী ঢাকার চকবাজারের ঘটনায়ও বিএনপিকে দায়ি করে তারেক রহমানের বিচার দাবি করে বসেছেন। অথচ সেখানকার প্রশাসন সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেছেন, সেখানে কোনো চাঁদাবাজির ঘটনা ছিলো না এবং বিএনপির কোনো লোক জড়িত না। মূলত ব্যবসায়ীক দ্বন্দ্ব থেকে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।’
তিনি বলেন, ‘অনেকে বলে থাকেন বিএনপি সংস্কার চায় না, নির্বাচন চায়। কিন্তু বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সেই ফ্যাসিবাদ সরকারের সময়ই ২০২৩ সালে ৩১ দফা লিখিত সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছেন। গত ৫ আগস্টের পর যারা সংস্কারের কথা বলছে তারা তো শুধু মুখে সংস্কারের কথা বলছে। লিখিত কোনো প্রস্তাবনা দেয় নাই। বিএনপি ছাড়া কোনো রাজনৈতিক দল এখন পর্যন্ত কোনো সংস্কার প্রস্তাব জাতির সমনে আনতে পারে নাই। এই বেহেশতের টিকেট বিক্রিওয়ালারা ও বট বাহিনী একদিকে বলে বিএনপি সংস্কার চায় না নির্বাচন চায়, আরেকদিকে তারাই ৩০০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে। বিএনপি তো এখনো প্রার্থী ঘোষণা করে নাই। তাহলেকে নির্বাচন চায়? তাদের মুখে একটা অন্তরে আরেকটা। এরা নতুন করে বাংলাদেশের নির্বাচনকে পেছানোর চেষ্টা করছে।’
এ সময় দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে তারেক রহমানের নেতৃত্বে এ বট বাহিনীর সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করার আহ্বান জানান তিনি।
মতবিনিময় সভায় ভোলা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মাসুদের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মোন্তাসির আলম রবিন চৌধুরীর সঞ্চলনায় আরো বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান, সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক, যুগ্ম-সম্পাদক কাজী মোখতার হোসাইন, মোহাম্মদ উল্লাহ চৌধুরী ফয়সাল, সহ-সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোরশেদ রাসেল, অর্থ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার কামরুজ্জামান হীরা, সহ-দফতর সম্পাদক ওসমনা গণি, সদস্য রাকিবুল হাসান চৌধুরীসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।