Image description
 

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর প্রাণ ফিরেছে রাজশাহী মহানগর বিএনপির রাজনীতিতে। আগামী ১০ আগস্ট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দলটির সম্মেলন। দীর্ঘদিন পর নগর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের লক্ষ্যে সম্মেলন ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি ও সাংগঠনিক তৎপরতা। আওয়ামী সরকারের সময়ে অত্যাচার, জেল-জুলুমের শিকার নেতাকর্মীরা এখন কর্মোদ্যম নিয়ে কাজ করছেন।

 

মহানগর বিএনপির এ সম্মেলনে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেবেন। তিনি ঐক্যের বার্তা দেবেন বলে দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে। এছাড়া আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের প্রস্তুতির বিষয়েও তিনি নেতাকর্মীদের বিশেষ বার্তা দেবেন।

 

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর এরশাদ আলী ঈশাকে আহ্বায়ক ও মামুনুর রশিদ মামুনকে সদস্য সচিব করে রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর প্রায় সাড়ে তিন মাস পর আহ্বায়ক কমিটির পরিধি বাড়িয়ে ৬১ সদস্যের করা হয়। তারপর থেকে প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে আহ্বায়ক কমিটিতেই রাজশাহী মহানগর বিএনপি চলছে।

এদিকে, এ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে মহানগর বিএনপিতে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত। এরই মধ্যে ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ে কাউন্সিল সম্পন্ন হয়েছে। সম্মেলন সফল করতে মহানগরের প্রতিটি ইউনিটে কর্মিসভা, মতবিনিময় ও প্রচার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ইশা বলেন, রাজশাহীর বিএনপি নেতাকর্মীরা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মূল্যবান নির্দেশনা পেতে উন্মুখ হয়ে আছেন। দলকে আরো সংগঠিত ও শক্তিশালী করতেই সম্মেলনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, এখন আহ্বায়ক কমিটি আছে। যখন রেগুলার কমিটি হবে, তখন দল চাঙা হবে। গণতান্ত্রিকভাবে যাকে নির্বাচিত করা হবে, তিনিই নির্বাচিত হয়ে আসবেন। তিনি আরো বলেন, এবার প্রায় ৭০০ কাউন্সিলর থাকছেন। আশা করছি এ সম্মেলনের পর দলের সব বিভক্তি কেটে যাবে।

রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবুল কালাম আজাদ সুইট বলেন, যেসব নেতা বিগত ১৫ বছরে নির্যাতিত এবং মামলা-হামলা সহ্য করেও হাসিনাবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে ছিলেন, তারাই আগামীর নেতা হবেন বলে আশা করি।

রাজশাহী মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন বলেন, আমরা আশা করছি নগর বিএনপির কাউন্সিলররা তাকেই নেতৃত্বে স্থান দেবেন।

রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. সৈয়দ শাহীন শওকত বলেন, আমরা মনে করি এ সম্মেলন ঘিরে দল চাঙা হবে এবং গতি পাবে। এটি চলমান প্রক্রিয়া।