২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “ধ্বংসস্তূপের উপর দাঁড়িয়ে ড. ইউনূস ও তাঁর উপদেষ্টা পরিষদ যেভাবে দেশ চালিয়েছেন, তাতে আমরা কৃতজ্ঞ।”
বুধবার (৬ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
মির্জা ফখরুল জানান, “লন্ডনে ড. ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে যে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি হয়েছিল, তা গতকাল আবারও নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। এজন্য আমরা তাঁকে ধন্যবাদ জানাই।”
তিনি বলেন, “বিএনপি বিশ্বাস করে, জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারই কেবল শহীদদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে পারে। তাই গণতান্ত্রিক পথে ফেরার একমাত্র পথ হচ্ছে নির্বাচন।”
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, “গত ১৬ বছর দেশের মানুষ এক ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট শাসনের অধীনে ছিল। গুম, খুন, মামলা ও নির্যাতনের মধ্য দিয়ে মানুষ দিশেহারা ছিল। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সেই সরকারের পতন ঘটে, যা ছিল দীর্ঘদিনের আন্দোলনের ফসল।”
তিনি অভিযোগ করেন, “হাসিনা সরকার বিএনপিকে নেতৃত্বশূন্য করতে চেয়েছিল। ৬০ লাখ মামলা, খালেদা জিয়ার ১০ বছরের সাজা, তারেক রহমানকে বিদেশে রাখার চক্রান্ত—সবই ছিল নেতৃত্ব ধ্বংসের ষড়যন্ত্র।”
“শেখ হাসিনা অর্থনীতি, ব্যাংক, শেয়ারবাজারসহ প্রতিটি সেক্টরকে ধ্বংস করে গেছেন,” মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, “সেখান থেকে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে ড. ইউনূস যেভাবে গত এক বছর দেশ পরিচালনা করেছেন, তা প্রশংসনীয়।”
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “দলীয় নেতৃত্বে তারেক রহমান দীর্ঘদিন যাবত সঠিক দিকনির্দেশনা দিয়ে আসছেন। তাঁর নেতৃত্বেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম এগিয়ে গেছে।”
অন্যদিকে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “জুলাই ঘোষণাপত্রকে আমরা স্বাগত জানাই। আমরা বিশ্বাস করি, আগামী নির্বাচিত সরকার সাংবিধানিক সংস্কারের মাধ্যমে এই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন করবে। এটাই সঠিক ও গণতান্ত্রিক পথ।”
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে মির্জা ফখরুল বলেন, “ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের এখনও যথেষ্ট সময় আছে। অতীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার মাত্র তিন মাসেই নির্বাচন করেছে। আমরা বিশ্বাস করি, ড. ইউনূস কোনো এমন পদক্ষেপ নেবেন না যাতে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়।”
শীর্ষনিউজ