Image description

সম্প্রতি জাতীয় পার্টির (জাপা) বেশ কিছু নেতাকে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের সহযোগী হিসেবেও বিভিন্ন সময় আলোচনায় থাকে দলটি। এমন ভগ্নদশার মধ্যেও ২০২৪ সালে দলটির আয় ও ব্যয় দুটোই বেড়েছে।

আজ বুধবার জাতীয় পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের কাছে ২০২৪ পঞ্জিকা বছরের নিরীক্ষা প্রতিবেদন জমা দেন।

পরে রেজাউল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ২০২৪ সালে তাঁদের দল আয় করেছে ২ কেটি ৬৪ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৮ টাকা। আর ব্যয় করেছে ১ কোটি ৭৯ লাখ ৮৮ হাজার ৪৪ টাকা। স্থিতি এখন ৮৪ লাখ ৫০ হাজার ৮৯৪ টাকা।

এর আগে ভোটের বছর ২০২৩ সালে জাপা আয় করে ২ কোটি ২২ লাখ ২ হাজার ৪০৫ টাকা। আর ব্যয় করে ১ কোটি ১৩ লাখ ১৮ হাজার ৫২৫ টাকা।

জাপার তথ্য অনুযায়ী, দলের মনোনয়ন ফরম বিক্রি, সদস্যের চাঁদা, প্রকাশনা বিক্রি ইত্যাদি থেকে দলটি আয় করে। আর ব্যয় হয় প্রচার কার্যক্রম, অফিস কর্মচারীদের বেতন ইত্যাদি খাতে।

২০২২ সালে তাদের আয় হয় ২ কোটি ২৯ লাখ ১৪ হাজার ৯৬৮ টাকা। ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ২৮ লাখ ৩৭ হাজার ৫৪২ টাকা। ব্যাংকে স্থিতি ছিল ১ কোটি ৭ লাখ ৭৭ হাজার ৪২৬ টাকা।

২০২১ পঞ্জিকা বছরে ব্যাংক জমাসহ ২ কোটি ৯ লাখ ৮৫ হাজার ১৫৪ টাকা আয় দেখিয়েছিল জাতীয় পার্টি। আর ব্যয় দেখানো হয়েছিল ৮৪ লাখ ৬৮ হাজার ১৩৪ টাকা। বছর শেষে দলটির স্থিতি ছিল ১ কোটি ২৫ লাখ ১৭ হাজার ২০ টাকা।

২০২০ সালে জাপার ব্যয় ছিল ৭৬ লাখ ৪ হাজার ১২০ টাকা। উদ্বৃত্ত ছিল ৫১ লাখ ৬৮ হাজার ৭৫৭ টাকা ৫৪ পয়সা।

প্রতি বছর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিবন্ধিত দলগুলোর আগের পঞ্জিকা বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব ইসিতে জমা দেওয়ার বিধান রয়েছে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে।

২০০৮ সালে নিবন্ধন প্রথা চালুর পর থেকে প্রতি বছরের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আগের পঞ্জিকা বছরের (জানুয়ারি-ডিসেম্বর) আয়-ব্যয়ের হিসাব স্বীকৃত চার্টার্ড অ্যাকাউন্টিং ফার্ম দিয়ে নিরীক্ষা করে ইসিতে জমা দেয় রাজনৈতিক দলগুলো।

বর্তমানে নির্বাচন কমিশনে বিএনপি, জামায়াত, জাপাসহ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে ৫০টি।

প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত থাকায় অডিট রিপোর্ট দেওয়ার বাইরে রয়েছে দলটি। আইন অনুযায়ী, পরপর তিন বছর দলের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা না দিলে সংশ্লিষ্ট দলের নিবন্ধন বাতিলের বিধান রয়েছে।