
মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসাবে ৩ আগস্ট শহীদ মিনার থেকে শাহবাগে কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয়তাবাদীয় ছাত্র। আজ বুধবার (৩০ জুলাই) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন করে সমাবেশের বিষয়ে চূড়ান্ত এই সিদ্ধান্ত জানান ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব। এনসিপির নেতৃবৃন্দের ‘বারবার অনুরোধের’ প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
রাকিব বলেন, আমরা চাইলে সমাবেশটি ঘোষিত স্থানেই করতে পারতাম। কিন্তু আমরা কাঁটার পরিবর্তে ফুল দিলাম। আমরা উস্কানির বিপরীতে শান্তি ও সহানস্থানের বার্তা দিলাম। আমরা মনে করি, এই ঘটনা বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতির ইতিহাসে শান্তি, সম্প্রীতি, উদারতা ও সৌহার্দ্যের অনন্য নজির হয়ে থাকবে।
ছাত্রদল সভাপতি আর বলেন, যারা সফল অভ্যুত্থানের পর অভ্যুত্থানের একক মালিক হয়ে উঠতে চাইছেন, আশা করি এই উদারতার পর তারা নিজেদের সম্ভিত ফিরে পাবেন এবং সঠিক ও সুস্থ ধারায় নিজেদের রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। অন্য সকল মত ও পথের প্রতি নূন্যতম শ্রদ্ধা পোষণ করবেন। সকল বিষয়ে হঠকারিতার রাস্তা পরিত্যাগ করবেন।
তিনি বলেন, আজকের ম্যাসেজ খুবই পরিষ্কার। আমরা আগামীদিনে দেশের শিক্ষাঙ্গনগুলোতে ইতিবাচক ধারার গণতান্ত্রিক, শান্তিপূর্ণ, সহাবস্থানের, পরস্পর শ্রদ্ধাপূর্ণ, সৌহার্দ্যমূলক, পলিসিনির্ভর ছাত্ররাজনীতি করতে চাই। এই পথে উদারতা ও পরমতসহিঞ্চুতাই হবে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী ধারার রাজনৈতিক শক্তির পাথেয়।
ছাত্রদল সভাপতি আরও বলেন, এ ধরনের একটি কর্মসূচি ঘোষণা করার পর, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করার পর কর্মসূচিটি ভিন্ন কোন স্থানে সরিয়ে নেয়া খুবই বিব্রতকর ও কষ্টসাধ্য একটি কাজ। কর্মদিবসে আমাদের কর্মসূচির কারণে যেন কোন জনভোগান্তি তৈরি না হয়, সমাবেশটি শহীদ মিনারে করতে চাওয়ার এটিও ছিল একটি অন্যতম কারণ। তাছাড়া আমরাই যেহেতু কর্মসূচিটি প্রথমে ঘোষণা করি এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতিও লাভ করি, তাই উক্ত স্থানে সমাবেশ করার আমরাই একমাত্র বৈধ দাবিদার। তারপরেও একটি উদার, গণতান্ত্রিক, সহাবস্থানে বিশ্বাসী, পরমতসহিঞ্চু, গ্রহণযোগ্য সকল মত ও পথের প্রতি শ্রদ্ধাশীল সংগঠন হিসেবে আমরা জাতীয় নাগরিক পার্টির অনুরোধকে বিবেচনায় নিয়ে আমাদের ছাত্র সমাবেশের স্থানটি পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।
তিনি বলেন, আমাদের ৩ আগস্টের সমাবেশটি সেদিন শহীদ মিনারের পরিবর্তে শাহবাগে অনুষ্ঠিত হবে। একান্তই উদারনৈতিক রাজনৈতিক অবস্থানের প্রতিফলন হিসেবে এই স্থান পরিবর্তনের কারণে রাজধানীর ব্যস্ত সড়কে যদি কোনরূপ ভোগান্তি তৈরি হয়, এই অনিচ্ছাকৃত সমস্যার জন্য আমরা নগরবাসীর নিকট অগ্রীম দুঃখ প্রকাশ করছি। আশা করছি তারা এই দিনটির তাৎপর্য ও আমাদের স্থান পরিবর্তনের উদারতাকে অবশ্যই তাদের বিবেচনায় রাখবেন।