Image description

রাজধানীর কেরানীগঞ্জে রাজউকের ঝিলমিল আবাসিক প্রকল্পে দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে ‘বিশেষ বিবেচনায়’ ১৫টি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ের ১৫ জন গাড়িচালকের নামে। তাদের নামে তিন ও পাঁচ কাঠার প্লট বরাদ্দ দিতে রাজউককে চিঠি দিয়েছিল গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। প্লট বরাদ্দে রাজউকের নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়নি বলে প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুদক।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান সংস্থাটির উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম।

বলা হয়, ২০২৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় রাজউকের চেয়ারম্যান বরাবর পাঠানো একটি চিঠিতে শেখ হাসিনার কার্যালয়ে কর্মরত ১৫ গাড়িচালকের নাম উল্লেখ করে তাদের মাঝে তিন ও পাঁচ কাঠার প্লট বরাদ্দের অনুমতি দেওয়া হয়। চিঠিটি সই করেছিলেন মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন যুগ্ম সচিব মো. মিজানুর রহমান।

ওই চিঠিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কর্মরত ১৫ জন গাড়িচালকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রাজউকের আওতাধীন ঝিলমিল আবাসিক প্রকল্পে প্রতি দুই জন আবেদনকারীর অনুকূলে একটি করে ৩ কাঠার প্লট এবং তিন জন আবেদনকারীর অনুকূলে একটি করে ৫ কাঠার প্লট বরাদ্দ দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। তালিকাভুক্ত চালকদের মধ্যে আছেন ভিভিআইপি ও ভিআইপিদের গাড়িচালক, বিভিন্ন সচিব, প্রটোকল অফিসার ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারীদের চালকেরা।

দুদক জানায়, ২০০৯ সালের নীতিমালার আলোকে সেখানে ৯৩৪টি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়। তবে প্রাথমিক পর্যালোচনায় দেখা গেছে, নীতিমালার ১৩/এ ধারা যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়নি।

দুদক আরও জানায়, প্লট পাওয়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ১৫ গাড়িচালক হলো- ভিভিআইপি গাড়িচালক মো. সাইফুল ইসলাম ও মো. সফিকুল ইসলাম, অ্যাম্বুলেন্স চালক মো. নূরুল ইসলাম লিটন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের গাড়িচালক মো. রাজন মাদবর, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিবের গাড়িচালক মো. মাহবুব হোসেন, একান্ত সচিব-১-এর গাড়িচালক মো. শাহীন, একান্ত সচিব-২-এর গাড়িচালক মো. মতিউর রহমান, সহকারী একান্ত সচিব-১-এর গাড়িচালক মো. নূর হোসেন ব্যাপারী, সহকারী একান্ত সচিব-২-এর গাড়িচালক মো. বোরহান উদ্দিন, বিশেষ সহকারী (মশিউর রহমান হুমায়ুন)-এর গাড়িচালক মো. বেলাল হোসেন, চিফ ফটোগ্রাফারের গাড়িচালক মো. মিজানুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-১-এর গাড়িচালক মো. বাচ্চু হাওলাদার, প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১-এর শাখার নথিপত্র পরিবহনের দায়িত্বে নিয়োজিত গাড়িচালক মো. নুরুল আলম, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার গাড়িচালক মো. নুরনবী (ইমন) এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-২-এর গাড়িচালক মো. শাহীন।

দুদক আরও জানায়, প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি ও অনিয়মের সত্যতা সংক্রান্ত অভিযোগের বিস্তারিত যাচাইয়ে রেকর্ডপত্র বুধবার (২৩ জুলাই) সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।