
উপদেষ্টাদের ছাড়িয়ে নিতে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও বিজিবির সদস্যরা পৌঁছান। এরপর মাইলস্টোন কলেজ ক্যাম্পাসে ফিরে যান দুই উপদেষ্টা। সেখানে কিছুক্ষণ ছিলেন তারা। এরপর কলেজের পেছনের গেট দিয়ে ক্যাম্পাস ছাড়েন দুই উপদেষ্টা।
মাইলস্টোন কলেজের পেছনের গেট দিয়ে চলে গেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও শিক্ষা উপদেষ্টা সি. আর. আবরার। পুলিশের এডিশনাল ডিআইজি ডিসি (উত্তরা) মো: মুহিদুল ইসলাম খবরটি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে গোলচত্বরে এখনো শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছেন।
এর আগে, উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে অবরুদ্ধ দুই উপদেষ্টা পুলিশি পাহারায় ক্যাম্পাস থেকে বের হন। তবে পুলিশের পাহারা নিয়েও উপদেষ্টাদের গাড়ি বহর মূল সড়কে যেতে পারেনি। ক্যাম্পাসের ভেতর থেকে বের হলেও গোলচত্বরে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা তাদের রাস্তা আটকে দেন।
তখন উপদেষ্টাদের ছাড়িয়ে নিতে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও বিজিবির সদস্যরা পৌঁছান। এরপর মাইলস্টোন কলেজ ক্যাম্পাসে ফিরে যান দুই উপদেষ্টা। সেখানে কিছুক্ষণ ছিলেন তারা। এরপর কলেজের পেছনের গেট দিয়ে ক্যাম্পাস ছাড়েন দুই উপদেষ্টা।
সকালে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে পরিদর্শনে গেলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা দুই উপদেষ্টাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। এক পর্যায়ে উপদেষ্টারা ভবন-৫ এ আশ্রয় নিলে বাইরে থেকে ইট, লাঠি ও বোতল নিক্ষেপ করতে থাকে শিক্ষার্থীরা।
নিহতদের নাম-ঠিকানা প্রকাশ, আহতদের নির্ভুল তালিকা, শিক্ষকদের সঙ্গে অসদাচরণের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা, ক্ষতিপূরণ প্রদান, ঝুঁকিপূর্ণ উড়োজাহাজ বাতিল ও প্রশিক্ষণ পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে সকাল ১০টা থেকে জমায়েত হয় শত শত শিক্ষার্থী। বিক্ষোভে যুক্ত হন অভিভাবকরাও।