Image description

সোনাগাজীতে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এনসিপি নেতাদের বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন উপজেলা ছাত্রদলের সদ্য সাবেক সদস্যসচিব নুর আলম সোহাগ। গতকাল রবিবার দুপুরে জিরো পয়েন্টে আয়োজিত ওই সমাবেশে তিনি বলেন, ‘যদি তারা প্রকাশ্যে ক্ষমা না চায়, তবে এনসিপি নেতাদের ফেনীতে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।’

সোহাগের ভাষ্য, এনসিপির এক নবীন নেতা বিএনপির সিনিয়র নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘যে বয়সে আমার চেয়েও ছোট, সে আজ এমন ভাষা ব্যবহার করছে। এই দেশে বসবাস করতে হলে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই থাকতে হবে। এনসিপি যদি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের মতো একপাক্ষিক জুলাই দাবি করতে চায়, তাহলে জনগণ তাদেরও প্রত্যাখ্যান করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘জুলাই একক কারও নয়, এটি গণমানুষের। আপনারা ঢাকায় নেতৃত্ব দেন, আমরা তৃণমূলে। আপনাদের নেতৃত্ব বিক্রির চেষ্টা জনগণ বুঝে ফেলেছে।’

এদিকে ফেনী জেলা বিএনপি সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ছাত্রদল নেতার ওই বক্তব্য বা ফেসবুকে ঘুরে বেড়ানো এনসিপির কর্মসূচি প্রতিহতের ডাকের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

গতকাল সন্ধ্যায় এক যৌথ বিবৃতিতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার ও সদস্যসচিব আলাল উদ্দিন আলাল বলেন, ‘ফেসবুকে গুজব ছড়ানো হচ্ছে যে, আগামীকাল ফেনীতে এনসিপির সমাবেশ ঠেকানো হবে—এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত বা পরিকল্পনা বিএনপির নেই। যারা এমন গুজব ছড়াচ্ছে, তারা শান্ত পরিবেশ অশান্ত করতে চায়।’

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গুজব ছড়ানো ব্যক্তিরা ফ্যাসিস্টদের সহযোগী। তাদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই। আমাদের কোনো নেতাকর্মী উসকানিমূলক বক্তব্য দিলে তার বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ফেনী জেলা যুবদলের আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন খন্দকার বলেন, ‘বন্যার সময় ১২ কোটি টাকার ত্রাণ নিয়ে মানুষের ক্ষোভ আছে। কেউ যদি এর প্রতিবাদ করে, সেটার দায় আমরা নেব না।’

অন্যদিকে এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এহসানুল মাহবুব জোবায়ের বিষয়টি স্পষ্ট করে বলেন, ‘বন্যার সময় যে টাকা উঠেছিল, তা সঙ্গে সঙ্গে উপদেষ্টার তহবিলে জমা দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদনও রয়েছে। কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে বিতর্ক তৈরি করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতসহ শীর্ষ নেতাদের আমরা পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিটি স্তর—পুলিশ, র‍্যাব, সেনাবাহিনী—সবাইকে সার্বক্ষণিক অবহিত রাখা হচ্ছে। আমরা নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত নই।’