
সাংবাদিক খালেদ মহিউদ্দিনের টকশোতে অংশ নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা দক্ষিণ শাখার সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ এক প্রশ্নের জবাবে আলোচিত এক বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
টকশোয় একজন দর্শক প্রশ্ন করেন, ড. মাসুদ কি এক সময় বলেছিলেন যে “রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরে বাংলা হলে শিবিরের এত অস্ত্র আছে যে তা দিয়ে পুরো প্রশাসনকে এক সপ্তাহ চ্যালেঞ্জ করা সম্ভব”? এই বক্তব্যটি নিয়েই উঠেছে বিতর্ক।
জবাবে ড. মাসুদ বলেন, এটি একটি “কাটপিস ভিডিও”। অর্থাৎ, বক্তব্যের একটি অংশ কেটে প্রচার করা হয়েছে এবং এর ফলে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।
তিনি জানান, ২০০৬ সালে নরসিংদীতে এক কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া তার বক্তব্য থেকেই এই অংশটি কেটে নেওয়া হয়েছে। তখন তিনি ছাত্রশিবির কেন্দ্রীয় সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।
ড. মাসুদ বলেন, “ছাত্রমৈত্রী সেই সময় আমাদের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালায়। তারা মাইকিং করে ঘোষণা দিয়েছিল যে, শুধু শেরে বাংলা হলে থাকা অস্ত্র দিয়েই তারা পুরো রাজশাহী মহানগরীকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।”
তিনি দাবি করেন, সেই বক্তব্যের মূল অংশ ছিল ছাত্রমৈত্রীর দাবি তুলে ধরা এবং তা নিয়ে ছাত্রশিবিরের অবস্থান ব্যাখ্যা করা। কিন্তু সেই বক্তব্য থেকে শুধু “অস্ত্র দিয়ে প্রশাসনকে চ্যালেঞ্জ” করার কথাটি কেটে প্রচার করা হয়েছে, যাতে বিভ্রান্তি তৈরি হয়।
ড. মাসুদ বলেন, “এই ভিডিওটি আমার জীবনের প্রথম ভাইরাল হওয়া বক্তব্যগুলোর একটি। তবে কেউ যদি পূর্ণ বক্তব্যটি শুনতে চান, তাহলে ইউটিউবে ‘নরসিংদী ২০০৬ ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ’ লিখে সার্চ করলে পুরো ভিডিওটি পাওয়া যাবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমি কখনো বলিনি যে আমাদের হাতে অস্ত্র আছে বা আমরা প্রশাসনকে চ্যালেঞ্জ করব। এটা মূলত ছাত্রমৈত্রীর ভাষ্য তুলে ধরার একটি অংশ ছিল, যা খণ্ডিতভাবে প্রচার করা হয়েছে।”
এই প্রসঙ্গে তিনি অনুরোধ করেন, “যারা বিভ্রান্ত হচ্ছেন, তারা অনুগ্রহ করে পূর্ণ ভিডিওটি শুনে বুঝে নিন। খণ্ডিত বক্তব্যে সত্য কখনো প্রকাশ পায় না।”
এই বক্তব্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আসলে শিবিরের অস্ত্র থাকার বিষয়টি নাকচ করে দেন ড. মাসুদ। তার ভাষ্য অনুযায়ী, এটি একটি ভুল ব্যাখ্যা এবং উদ্দেশ্যমূলক প্রচারণার অংশ।