
আগামীকাল (১৯ জুলাই) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। ইতোমধ্যে এই সমাবেশ সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে দলটি। জামায়াতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই সমাবেশ থেকে পিআর পদ্ধতি বা সংখ্যানুপাতিক হারে সংসদ নির্বাচন, জুলাই গণহত্যার দৃশ্যমান বিচার ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতসহ ৭ দফা দাবি জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে চায় তারা।
জামায়াত নেতারা বলছেন, তাদের আগামীকালের (১৯ জুলাই) জাতীয় সমাবেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার ঐতিহাসিক মহড়া ও দেশের রাজনীতির টার্নিং পয়েন্ট হবে।
ইতোমধ্যে সমাবেশে নেতাকর্মীদের আনতে তিন জোড়া বিশেষ ট্রেন ভাড়া করেছে দলটি। এসব ট্রেন একবার করে চলবে রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ-ঢাকা-সিরাজগঞ্জ এবং ময়মনসিংহ-ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে।
সমাবেশ ঘিরে শুক্রবার (১৮ জুলাই) দুপুরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশস্থল পরিদর্শন করেছেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
তিনি বলেন, ১৯ জুলাই সকাল ১০টা থেকে কুরআন পাঠ হবে। এতে হামদ ও নাত পরিবেশন করা হবে। আমরা মূল অনুষ্ঠান শুরু করব দুপুর ২টায়। সমাবেশ স্থলে ২০টি পয়েন্টে প্রায় ৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করবেন। ঢাকা শহরের বাইরে থেকে যারা আসবেন তাদের জন্য আমরা কমপক্ষে ১৫টি পার্কিং পয়েন্ট রেখেছি। ওই দিন সারা দেশ থেকে রাজধানীতে মানুষের ঢল নামবে।
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত জাতীয় সমাবেশে সারা দেশ থেকে মানুষের ঢল নামবে। সেই সমাবেশ থেকে আমরা দাবি জানাব- সংখ্যানুপাতিক হারে নির্বাচন হলে কোয়ালিটি পার্লামেন্ট হবে। তাছাড়া জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দরকার। দেশে দায়িত্বরত বিভিন্ন এজেন্সি তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হচ্ছে, এটাই আমরা আমাদের জাতীয় সমাবেশ থেকে তুলে ধরব। পিআর পদ্ধতির নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বেশি উপযুক্ত।
এদিকে সোহরাওয়ার্দীর জাতীয় সমাবেশ সফলের লক্ষে গত ১৫ জুলাই সিলেট নগরীর আম্বরখানায় বিমানবন্দর থানা জামায়াত আয়োজিত প্রচার মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরীর আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেছেন, এদেশে ইসলাম ও ইসলামি আন্দোলনকে নিয়ে ষড়যন্ত্র অতীতে সফল হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না। দেশে নতুন ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারের উত্থান বন্ধ করতে হবে। ১৯ জুলাইয়ের জাতীয় মহাসমাবেশ হবে ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার ঐতিহাসিক মহড়া। ওই সমাবেশ হবে দেশের রাজনীতির টার্নিং পয়েন্ট।