Image description

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘যারা সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে পিআর নির্বাচন বোঝে না, তাদের রাজনীতি করার দরকার নেই। যারা বোঝে, তারাই রাজনীতি করবে।’

 

 

শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকেলে ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রকাঠামোর বিলোপ এবং শাসনতন্ত্র পরিবর্তনের জন্য পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে মেরুল বাড্ডায় ‘৩৬ জুলাই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিরোধ’ স্মরণে আয়োজিত গণসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

 

 

 

গোপালগঞ্জে এনসিপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে নুরুল হক নুর বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের অংশীজনের বিভাজনের ফলে পতিত ফ্যাসিবাদ আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। গোপালগঞ্জে তার আলামত দেখা গেছে। রাজনীতিতে নতুন দল এনসিপির ওপর হামলা হয়েছে। এজন্য একতাবদ্ধ থাকতে হবে, তা না হলে আমরা পরাজিত হবো।’

 

 

 

এ সময় রাজনৈতিক দলগুলো একে অন্যের প্রতি যেসব স্লোগান দিচ্ছে, তার সমালোচনা করেন সাবেক এই ভিপি। তিনি বলেন, ‘জঘন্য ও নোংরা ভাষায় সমালোচনা করলে রাজনীতিতে পরস্পরের প্রতি সহাবস্থান থাকবে না।’

 

 

 

এর আগে শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীতে মহানগর উত্তর বিএনপির মৌন মিছিল কর্মসূচিতে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন ও স্থানীয় নির্বাচন যারা চান, তাদের অসৎ উদ্দেশ্য আছে। যারা বিভ্রান্তির মধ্য দিয়ে নির্বাচনকে পিছিয়ে দিতে চান, তারা স্থানীয় ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চান। পিআর পদ্ধতি খায় না মাথায় দেয়? কেউ বোঝে না।’

 

 

 

তিনি বলেন, ‘জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য ধরে রাখতে হবে। যারা নতুন নতুন বাক্যবিশারদ হয়েছেন, নতুনরা ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন, সেটা ভালো। কিন্তু কেউ যদি নির্বাচনকে পিছিয়ে দিয়ে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা করে, ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করে, তবে তারা আবারও ফ্যাসিবাদকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।’

 

 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘একটি মহল ফ্যাসিবাদ ফিরিয়ে আনার পাঁয়তারা করছে; কিন্তু শেখ হাসিনার রাজনৈতিক মৃত্যু হয়েছে, দাফন হয়েছে দিল্লিতে।’

 

 

এই জুলাইয়ের মধ্যে ‘জুলাই সনদ’ না হলে, ঐকমত্য কমিশন ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়ী থাকবে বলেও জানান বিএনপির এই সিনিয়র নেতা।