
অবিলম্বে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেয়া সহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছে ইসলামী ছাত্র শিবির। মঙ্গলবার সংগঠনটির কার্যকরী পরিষদের দ্বিতীয় সাধারণ অধিবেশনের উদ্বোধনী সেশনে এই দাবি জানান কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।
এসময় উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ছাত্রশিবির সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক তৈরির ভিশন গ্রহণ করেছে। সংগঠনের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম হিসেবে কার্যকরী পরিষদ সদস্যরা জুলাইয়ের স্পিরিটকে ধারণ করে এ ভিশন বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন বলে আশা করছি। মনে রাখতে হবে, আমাদের পেছনে ফেরার পথ নেই। বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ার লক্ষ্যে আমাদেরকে সাহসের সাথে স্থিরপদে সামনের দিকে এগিয়ে যেতেই হবে।
শিবির সভাপতি বলেন, আমরা জানি, দীর্ঘ সাড়ে তিন দশক ধরে বাংলাদেশের শিক্ষাঙ্গনগুলোতে গণতান্ত্রিক চর্চা নেই। আজও মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি বৈষম্য দূর হয়নি। আজও দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ওয়ার্ল্ড র্যাংকিংয়ে শীর্ষস্থানে যাওয়ার মতো অবস্থানে নেই। সুতরাং আমাদেরও নিশ্চিন্ত সময় যাপনের সুযোগ নেই। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ওয়ার্ল্ড ক্লাসে উন্নীত করার জন্য এবং বৈষম্যমুক্ত ও অংশগ্রহণমূলক শিক্ষাপদ্ধতি প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদেরকে জোরালো ভূমিকা পালন করতে হবে।
এ অধিবেশন থেকে উত্থাপিত দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-দেশের সবগুলো উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অতি সত্বর আবাসন সংকট নিরসন করতে হবে। দেশের মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি বিশেষত ইবতেদায়ি মাদরাসার প্রতি বৈষম্য দূর করতে হবে। আলিয়া মাদরাসায় ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ খুলতে হবে। শিক্ষায় বাজেট বরাদ্দ ও গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে।
শিক্ষাঙ্গনে যেকোনো ধরনের সন্ত্রাস ফিরে আসার পথ রুদ্ধ করতে হবে। ৩৬ জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রদান করতে হবে। প্রয়োজনীয় রাষ্ট্রীয় কাঠামো সংস্কার এবং জনমনে শান্তি ও স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি জোরদার করতে হবে। জুলাই গণহত্যাসহ সকল অপকর্ম, গুম-খুন ও দুর্নীতির বিচার নিশ্চিত করতে হবে। একটি দক্ষ ও নৈতিকতাসমৃদ্ধ জাতি গঠনে আধুনিক ও আদর্শিক শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়ন করতে হবে এবং জুলাই অভ্যুত্থানকে বিপ্লবে রূপান্তর করতে এই সরকারকে একটি বিপ্লবী সরকারের ভূমিকা পালন করতে হবে।
রাজধানীর মগবাজারে আল-ফালাহ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ অধিবেশনের সেশন উদ্বোধন ঘোষণা করেন- জুলাই শহীদ শাকিল পারভেজের সম্মানিত পিতা বেলায়েত হোসেন। অতিথি ছিলেন সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ও নূরুল ইসলাম বুলবুল।