Image description
 

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা চিকিৎসা-পুনর্বাসনবঞ্চিত জুলাইযোদ্ধাদের তালিকা চেয়েছেন এবং দলের পক্ষ থেকে তা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছাতে সাহায্য করবেন বলে জানিয়েছেন। শুক্রবার (১১ জুলাই) গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ সংক্রান্ত বক্তব্য প্রদান করেন।

জুলাইযোদ্ধাদের উদ্দেশে তাসনিম জারা বলেন, ‘চিকিৎসা খরচ যেটা সরকারি প্রতিশ্রুতি আছে কিন্তু আপনারা পাচ্ছেন না। তারপরে ক্যাটাগরি নিয়ে অনেকে কথা বলেছেন যে, ক্যাটাগরি যেটা হওয়ার কথা সেটা হয় নাই। তো এরকম অনেকের যা যা প্রবলেম আছে আপনারা একজন দায়িত্বশীল হিসেবে একটা তালিকা করে, কার কার কী প্রবলেম, যারা চিকিৎসার খরচটা এখনো পান নাই, ক্যাটাগরি রিলেটেড প্রবলেম আছে। অনেকের যে আর্থিক সহায়তা পাওয়ার কথা সেটা পান নাই। এগুলো যদি একটা তালিকা করে দিতে পারেন, তাহলে আমাদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে সেটা পৌঁছে দিতে সুবিধা হবে।’

ডা. তাসনিম জারা আরও বলেন, ‘আর পুনর্বাসনের কথা অনেকে বলছেন, চিকিৎসার কথা অনেকে বলছেন, যাদের অনেকেরই এখনো লং টার্ম চিকিৎসা প্রয়োজন। লং টার্ম চিকিৎসা বলতে হয়তো অপারেশন আর করার প্রয়োজন নাই, কিন্তু ওই জয়েন্টটা রিহ্যাবিলিটেট করা লাগবে। অর্থাৎ আগে যেরকম ছিল সেটার কাছাকাছি যাওয়ার জন্য শারীরিক রিহ্যাবিলিটেশন প্রয়োজন।’

 

‘কারো কারো মানসিক পুনর্বাসন প্রয়োজন। তারপরে যারা পড়াশোনা করছিলেন, পড়াশোনাটা যাতে চালিয়ে যেতে পারেন অনেকের সেই অবস্থায় আর নাই। হয়তো চোখে দেখতে সমস্যা হচ্ছে, হাত-পায়ের বিভিন্ন জায়গায় যেই ক্ষতগুলো হয়েছে, সে কারণে আপনি আর আগের মতো করে যেতে পারছেন না। কিন্তু আগের কাছাকাছি যাওয়ার জন্য যেই শারীরিক রিহ্যাবিলিটেশনটা প্রয়োজন, পড়াশোনার ক্ষেত্রে, চাকরির ক্ষেত্রে।’

 

এনসিপি নেত্রী তাসনিম জারা আরও বলেন, ‘এইটাও কিন্তু সরকারের কমিটমেন্ট যে, সেই পুনর্বাসনে তারা সাহায্য করবেন, চিকিৎসায় সাহায্য করবেন। জুলাইয়ে যারা আহত হয়েছেন, শহীদ হয়েছেন, আমরা বারবার শুনেছি যে, আপনাদের চিকিৎসা হচ্ছে সরকারের টপ প্রায়োরিটি। সেটা আপনারা যখন হাসপাতালে যাবেন বা কোনো সেবা কেন্দ্রে যাবেন, আপনাদেরটা টপ প্রায়োরিটি থাকবে।’

‘কিন্তু বারবার আপনাদের কাছ থেকেই যেটা শুনছি, আমিও যখন আপনাদের সাথে কাজ করছি, হাসপাতালে যাই, ওই কথা আর কাজে মিল থাকে না। কথাটা আছে যে সেবা পাবে, কিন্তু হাসপাতালে গিয়ে কোন জায়গায় গেলে আপনি বলবেন যে, আমি জুলাইয়ে আহত, আমার এই জিনিসটা প্রয়োজন, সেটা আর বাস্তবে সেটার সাথে মিল থাকে না। কোথায় যাবেন, বারবার ঘুরাঘুরি করতে হয়, বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়, কোথায় এক্স-রে হবে, কোথায় ওষুধ পাবেন, কোথায় ইনভেস্টিগেশন হবে।’

তাসনিম জারা বলেন, ‘আমরা যতবারই সুযোগ পেয়েছি, সরকারের কাছে এটা তুলে ধরেছি, যাতে আপনাদের চিকিৎসা এবং পুনর্বাসন দ্রুত হয় আর যে সহায়তাগুলো সরকার প্রতিশ্রুতি অলরেডি আপনাদেরকে দিয়েছে, যা আপনাদের পাওয়ার কথা সেগুলো যাতে দ্রুত বাস্তবায়িত হয়। কিন্তু আপনাদের স্পেসিফিক যাদের যাদের সমস্যা হচ্ছে, যেখানে আপনারা জানেন যে এটা আমার পাওয়ার কথা কিন্তু পাচ্ছেন না, আবেদন করেছেন বা আবেদন কোথায় করতে হবে জানেন না, এগুলো যদি আপনাদের মধ্য থেকেই একজন দায়িত্ব নিয়ে একটা তালিকার মতো করে দেন, তাহলে আমরা সেটা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছাতে সাহায্য করব।’