Image description
 

জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের অধিকার সীমিত করার বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ স্থগিত করেছেন দেশটির একটি আদালত। বৃহস্পতিবার এ স্থগিতাদেশ দেন নিউ হ্যাম্পশায়ারের ফেডারেল আদালত। খবর আল জাজিরার।

 

রায়ের বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসন আপিল করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

মামলাটি করেছে অভিবাসী অধিকার সংগঠন আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন এসিএলইউ, যারা অভিবাসী অভিভাবক ও যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেয়া শিশুদের পক্ষে লড়ছে।

গর্ভবতী অভিবাসী নারী, অভিবাসী বাবা-মা এবং তাদের শিশু সন্তানদের পক্ষে মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল। মামলায় যাদের ওপর ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ কার্যকর হবে তাদের সন্তান এবং তাদের বাবা-মায়ের জন্য ‘ক্লাস অ্যাকশন স্ট্যাটাস’ চাওয়া হয়েছিল।

বিচারক তার রায়ে ‘ক্লাস-অ্যাকশন স্ট্যাটাস’ সত্যায়িত করার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে শুধুমাত্র সেইসব শিশুদের জন্য যারা বিধিনিষেধের দ্বারা প্রভাবিত হবে, তাদের বাবা-মায়ের জন্য নয়।

বিচারক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আদেশ কার্যকর হতে সাময়িকভাবে বাধা দেওয়ার জন্য একটি প্রাথমিক নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছেন।

জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব মার্কিন সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীর অধীনে সুরক্ষিত একটি অধিকার। এই সংশোধনীতে বলা হয়েছে যে ‘যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী সকল ব্যক্তি এদেশের নাগরিক।’

কয়েক দশক ধরে এই সংশোধনীটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী যে কাউকে নাগরিকত্ব প্রদানের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে।

তবে ট্রাম্প যুক্তি দিয়েছেন অনুমোদনহীন পিতামাতা মার্কিন আইনের আওতাভুক্ত নন। তাই তাদের যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী তাদের সন্তানদের নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না।

ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম দিনে একটি নির্বাহী আদেশে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব সীমাবদ্ধ করে একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেন। তবে সমালোচকরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত নবজাতক শিশুদের রাষ্ট্রহীন করে তুলতে পারে।

সুপ্রিম কোর্টের সবশেষ রায়ের পরও ক্লাস অ্যাকশন মামলার ব্যতিক্রমী বিধান ব্যবহার করে এই বাধা অতিক্রম করা হয়েছে।