Image description

টুডে রিপোর্ট 


জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সরাসরি গুলি করে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী সরকারের পতনের পর এই অডিও বের করে আনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল। বুধবার জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে বিস্তারিত এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিবিসি। সেই প্রতিবেদন ভাষান্তর করে প্রকাশ করে বিবিসি বাংলা। তবে সংবাদমাধ্যমটির দুই প্লাটফর্মে ভাষার ব্যবহারে দেখা গেছে আকাশ পাতাল তফাৎ। 


বিবিসি তাদের শিরোনামে লিখে ‘ফাঁস হওয়া অডিও থেকে জানা যায়, প্রাক্তন বাংলাদেশি নেতাই প্রাণঘাতী দমন-পীড়নের অনুমোদন দিয়েছিলেন’ অন্যদিকে বিবিসি বাংলার শিরোনাম করা হয় ‘বিবিসির অনুসন্ধানে ৫ই অগাস্ট ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে পুলিশি হত্যাকাণ্ডের যে চিত্র উঠে এসেছে’। 
বিবিসির ইংরেজি মাধ্যমের শিরোনামে হাসিনার হত্যাকাণ্ডের নির্দেশনা দেওয়ার কথা স্পষ্ট ‍উঠে আসে। অন্যদিকে বিবিসি বাংলার শিরোনামে হত্যাকাণ্ডে শেখ হাসিনার দায় সম্পূর্ণ আড়াল করা হয়। 


এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব হয়েছেন অনেকে। তারা বলছেন, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর বাংলা সংস্করণে এখনো ফ্যাসিস্টের দোসররা বসে আছে। অনেকে আবার এটাকে সাংবাদিকতার নীতি নৈতিকতা পরিপন্থী ক্লিকবেইট আচরণ বলে আখ্যায়িত করছেন।

গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের প্রতি বিবিসির অবহেলা!


যাত্রাবাড়ী গণহত্যা ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হাসিনার সরাসরি প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশনা নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিবিসি। আর এতে সংবাদমাধ্যমটির গুরুতর অসচেতনতা দেখা যায়।


প্রকাশিত প্রতিবেদনে বিবিসি ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ীতে ৫২ জন নিহত হয়েছে বলে উল্লেখ করে। অন্যদিকে এই দিন অন্তত ৪৪ জন পুলিশ কর্মকর্তা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে উল্লেখ করে বিবিসি। সংবাদ মাধ্যমটি লিখে এই গণঅভ্যুত্থানে অন্তত ১ হাজার ৪০০ জন প্রাণ হারান। বিবিসির ভাষা ব্যবহার দেখে মনে হচ্ছে সাধারণ মানুষ কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা অসুস্থতা জনিত কারণে মারা গেছেন। অন্যদিকে পুলিশকে হত্যা করা হয়েছে।