
বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে কবে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে। সেই নির্বাচনের মাধ্যমেই দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
বুধবার বাড্ডা ও রামপুরা থানা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত সদস্য ফরম বিতরণ ও নবায়ন কর্মসূচির দুটি পৃথক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত ১৫ বছর ধরে দেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। এখন সময় এসেছে জনগণ তাদের নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে নেবে। যারা নির্বাচন পিছিয়ে দিতে ষড়যন্ত্র করছে, তাদেরকে চিহ্নিত করুন। আগামী নির্বাচনের পরে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে।
পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতির সমালোচনা করে তিনি বলেন, যাদের ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার হওয়ার যোগ্যতা নেই, তারাই সংসদ সদস্য হওয়ার স্বপ্নে বিভোর হয়ে পিআর পদ্ধতির দিকে ঝুঁকছে। কত সখ জাগছে তাদের! কিন্তু এটা এতো সহজ নয়। যেখানে সাধারণ মানুষের মতামত থাকবে না, সেই পদ্ধতি কখনোই বাংলাদেশের মানুষ গ্রহণ করবে না।
আমিনুল হক আরও বলেন, বিএনপি এদেশের সাধারণ মানুষের দল। তাদের জন্যই রাজনীতি করে। সেই সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়েই বিএনপি এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করা হবে। ইনশাআল্লাহ, আগামী ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ও সতর্ক থাকতে হবে।
নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নিজ নিজ এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো রাখার জন্য কাজ করুন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় রাখুন। তবে স্বৈরাচারের দোসরদের মতো সাধারণ মানুষের ওপর কোনো অন্যায়-অবিচার করা যাবে না।
তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ রয়েছে, আগামীতে দেশে একটি পরিচ্ছন্ন, স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে আর কোনো স্বৈরাচারের জন্ম না হয়।
সদস্য নবায়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যারা গত ১৭ বছর আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে ছিলেন, মামলা-হামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন—তাদের সদস্য পদ নবায়ন আগে করা হবে। তবে যারা বিভিন্ন অজুহাতে কর্মসূচিতে অংশ নেননি, তাদের সদস্যপদ নবায়ন করা হবে না।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সম্পাদক ড. এমএ কাইয়ুম বলেন, আগামী নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জনগণকে সাথে নিয়ে, তাদের পাশে থেকে, তাদের ভোটের মাধ্যমেই বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে হবে। এজন্য নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার এবং জনগণের কাছে পৌঁছানোর আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যতবারই ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়েছে, তারা ভোট দিয়েছে। যত ষড়যন্ত্র হোক বা সময় ক্ষেপণ করা হোক না কেন, জাতীয় নির্বাচন আগামী ফেব্রুয়ারিতেই অনুষ্ঠিত হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তফা জামান। বাড্ডা থানা বিএনপি আহবায়ক আব্দুল কাদের বাবু ও রামপুরা থানা বিএনপি আহবায়ক হেলাল কবির হেলু'র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, মহানগর সিনিয়র সদস্য আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, মহানগর যুগ্ম আহবায়ক ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, এবিএমএ রাজ্জাক (দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত), আতাউর রহমান, গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, মুহাম্মদ আফাজ উদ্দিন, হাজী মোঃ ইউসুফ, তহিরুল ইসলাম তুহিন, মহানগর সদস্য এজিএম শামসুল হক, জাহাঙ্গীর মোল্লা, মাহাবুব আলম শাহীন, সোহেল রানা ভূইয়া, শামীম পারভেজ, রফিকুল ইসলাম খান মেম্বার, মনিরুল আলম রাহিমী, ইব্রাহিম খলিল, বাড্ডা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা মোঃ আলী হোসেন, বাড্ডা থানা বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এমদাদ হোসেন এমদাদ, আবুল বাশার ভূইয়া, রামপুরা থানা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক রেজাউল করিম বড় মিয়া, নিলুফার ইয়াসমিন নীলু প্রমুখ।