
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা প্রদীপ রায়কে ধরে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা ও বিএনপি নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে সিলেট নগরীর সুবিদবাজার এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে আটক করে স্থানীয় জনতা ও বিএনপি নেতাকর্মীরা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে হেফাজতে নেয়।
প্রদীপ সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক দিরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।
বুধবার (৯ জুলাই) এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জালালাবাদ থানার ওসি মো: হারুনুর রশিদ।
তিনি বলেন, ‘প্রদীপ রায়কে স্থানীয় জনতা আটক করে। পরে আমরা গিয়ে তাকে থানায় নিয়ে আসি। প্রদীপ রায়ের নামে হত্যাসহ সুনামগঞ্জে সাতটি মামলা রয়েছে। তাকে সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জলমহাল দখল নিয়ে দিরাই উপজেলায় কয়েকটি সহিংস ঘটনায় তার নাম আসামি হিসেবে ছিল। ২০১৭ সালে কুলঞ্জ ইউনিয়নের জারুলিয়া জলমহাল নিয়ে সংঘর্ষে তিনজন নিহত হন। ওই মামলায় তার নাম থাকলেও পরে পুলিশ চূড়ান্ত প্রতিবেদনে তাকে অব্যাহতি দেয়। এরপর ২০২১ সালে আরেকটি সংঘর্ষে একজন নিহত হলে সেই মামলায়ও তার নাম উঠে আসে।
প্রদীপ রায় দীর্ঘদিন ধরে দিরাই-শাল্লা অঞ্চলে ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতা হিসেবে পরিচিত। তবে নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে তিনি স্থানীয়ভাবে সমালোচিত হন। সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তার ভাই বিশ্বজিৎ রায়ও দিরাই পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন।
সরকার পরিবর্তনের পর থেকে দু’ ভাই আত্মগোপনে ছিলেন বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। তাদের অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পরই বিএনপি কর্মীদের সহায়তায় স্থানীয় জনতা সিলেট নগরীর লন্ডনী রোডের ১৩৭ নম্বর বাসা থেকে প্রদীপ রায়কে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।