
চব্বিশের জুলাই অভ্যুত্থানে আন্দোলনকারী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষার্থীর ওপর হামলাকারী নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।
হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতার নাম আল মামুন। তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ-স্কুলবিষয়ক সম্পাদক এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জের আওয়ামী লীগ মেম্বার আব্দুল মালেকের ছেলে।
জানা যায়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে সেকশন অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন ছাত্রলীগ নেতা আল মামুন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এক পোস্টে ঢাবিতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার সময় তার হাতে হকস্টিক নিয়ে দৌড়ানোর দৃশ্য চোখে পড়লে তাকে আটক করে নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা। এরপর তাকে প্রক্টর অফিসে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, তিনি ১৫ই জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের পরিকল্পিত হামলায় সরাসরি অংশ নিয়েছেন এবং শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছেন।
তবে জিজ্ঞাসাবাদে জবি শিক্ষার্থীর ওপর হামলার অভিযোগ এবং সেখানে তার উপস্থিতির বিষয়টি অস্বীকার করেন আল মামুন। তবে তিনি ছাত্রলীগের পোস্টধারী ছিলেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন।
সর্বশেষ তথ্যমতে, তাকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়েছে। পুলিশ এবং সেনাবাহিনী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসে তাকে আটক করে নিয়ে গেছে।