Image description

অবশেষে সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে জামায়াতে ইসলামী নোয়াখালীর সেনবাগে দলীয় মনোনিত প্রার্থীদের প্যানেল ঘোষণা করেছে। তারা আগামী জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

 

সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ি আংশিক) আসনে সংসদ সদস্য হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার বারগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও নোয়াখালী জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যক্ষ মাওলানা সাইয়েদ আহম্মদ।

এছাড়া সেনবাগ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানদ্বয় এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। স্থগিত দুটি ইউনিয়ন ৫নং অর্জুনতলা ও ২নং কেশারপাড় ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।  

সম্প্রতি নোয়াখালী জেলা জামায়াতের উদ্যোগে এক নির্বাচনি সমাবেশ এ ঘোষণা দেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা এটিএম মাসুম।   

সেনবাগ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নবীপুর ফয়েজিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার ও উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা ইয়াছিন করিম, ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও  উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল মালেক, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর মহিলা বিভাগীয় সেক্রেটারি কোহিনুর বেগম। 

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীরা হলেন ১নং ছাতারপাইয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে ছাত্রশিবির নোয়াখালী উত্তরের সাবেক সভাপতি ও ঢাকা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জামায়াতে ইসলামী মোহাম্মদপুর থানা পূর্ব সূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য সালাউদ্দিন, ৩নং ডুমুরুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে এনায়েতপুর রহমতিয়া আলিম মাদরাসার উপাধ্যক্ষ ও উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা মোহাম্মদ হানিফ, ৪নং কাদরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে সাবেক ছাত্রনেতা গোলাম হোসেন শাহিন, ৬নং কাবিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে চট্টগ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন, ৭নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে সেবারহাট বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবুল খায়ের, ৮নং বিজবাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে এশফাকুল হক মান্না মাদরাসার আরবি প্রভাষক ও উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মাওলানা নুরুল আবছার, ৯নং নবীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাসুদুর রহমান কোম্পানি। 

ঘোষণার পার পারেই প্রার্থীরা ভোটারদের দোয়া ও সমর্থন চেয়ে পোস্টার, ফেস্টুন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক সহ নানা ভাবে প্রচারণা শুরু করেছেন। তবে দু’-একটি ইউনিয়নে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে নেতাকর্মীদের মাঝে। এবারেই জামায়াতের ইসলামীর ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটেছে। এভাবে প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়ে এত আগে দলীয় প্রার্থীর নাম প্রকাশ অতীতে কোনো নজির নেই। যা এখন সাধারণ লোকজনের মধ্যে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। ফলাফল যাই হোক না কেন, এটা জামায়াতের নির্বাচনী কৌশল বলে অনেকেই মনে করে।