
চট্টগ্রামের পটিয়া থানার সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মঙ্গলবার রাতে পুলিশের সংঘর্ষে চার পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে পটিয়া থানার সামনে ওসি আবু জাহেদ মো. নাজমুন নূরের অপসারণের দাবিতে বুধবার (২ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে ‘পটিয়া ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
কর্মসূচির কারণে বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রাম-আরাকান মহাসড়ক। এতে সড়কের দুই পাশে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
আন্দোলনকারীরা বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে আমাদের কর্মীদের ওপর পুলিশ লাঠিপেটা করেছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত পটিয়া থানার ওসি আবু জাহেদ মো. নাজমুন নূরের অপসারণের দাবিতে আমরা পটিয়া ব্লকেড কর্মসূচি পালন করছি। ওসির অপসারণের সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত আমরা এ কর্মসূচি চালিয়ে যাবো।’
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম সানতু বলেন, ‘বিষয়টি আমরা শান্তিপূর্ণ সমাধানের চেষ্টা করছি।’
এর আগে, মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে চার পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাত ৯টার দিকে পটিয়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগ নেতা দীপংকর তালুকদারকে আটক করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। পরে তাকে পটিয়া থানা চত্বরে নিয়ে আসা হয়। তবে ওই ছাত্রলীগ নেতার নামে মামলা না থাকায় পুলিশ গ্রেফতার করতে চায়নি। এ নিয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের উত্তেজনা দেখা দেয় এবং পরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ ওই ছাত্রলীগ নেতাকে নিজেদের হেফাজতে নেয় এবং নেতাকর্মীদের লাঠিপেটা করে।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জাহেদ মো. নাজমুন নূর বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগের এক নেতাকে থানায় নিয়ে এসেছিলেন। তবে নিয়ে আসার পরে মব সৃষ্টি করে তাকে মারধর করা হচ্ছিল। একদল নিরাপত্তাবেষ্টনী ভেঙে থানায় মব নিয়ে ঢুকে যাচ্ছিল। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। এতে তিন-চার জন পুলিশ সদস্য আহত হন।’