Image description

ফেব্রুয়ারিতেই সংসদ নির্বাচন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ।

গতকাল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’ এর সমাবেশ থেকে বিভিন্ন ইসলামি দলের নেতৃবৃন্দের ‘আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে’র দাবি উঠার বিষয়টির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি এ কথা বলেন।

রোববার (২৯ জুন) আমীর খসুর বলেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হবে না এরকম কোনো লক্ষণ আমি দেখছি না। শুধু শুধু এটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার দরকার তো নেই। আমি দেখছি নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হচ্ছে।

তিনি বলেন, সারা দেশ নির্বাচনে নেমে পড়েছে। সারা দেশের মানুষ প্রস্তুতি নিচ্ছে ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের জন্য। নির্বাচন কমিশন প্রস্তুতি নিচ্ছে, তারা তৈরি আছে। যে বিষয়টা হয় নাই এটাকে শুধু শুধু প্রশ্নবিদ্ধ করে, আননেসেসারি আগামী নির্বাচনকে ব্যাহত করার চেষ্টা করে তো কোনো লাভ নাই। আর দ্বিমত তো থাকবেই। যেকোনো প্রেক্ষাপটে দ্বিমত থাকবে। আপনি যখনই যেটা বলবেন, রাজনৈতিক দলের মধ্যে দ্বিমত থাকবে। এটাতে কোনো অসুবিধা নাই। দ্বিমত পোষক করার সকলের অধিকার আছে।

গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাথে কানাডিয়ান হাইকমিশনার অজিত সিং সাক্ষাতের পর সংবাদ ব্রিফিং করেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

এক প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, শুধু এখানে না, সারা দেশে ধর্ষণের ঘটনা বিভিন্ন জায়গায় ঘটছে… অনেক কিছু রিপোর্ট হচ্ছে না। এটার বিরুদ্ধে সরকারকে আরও সক্ষম হতে হবে, আরও তাদের নজরদারি বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, এই সব ধর্ষণের ঘটনার রাজনীতিকরণ। যারা এই সব ঘটনা ঘটিয়ে আগামী দিনে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার সুযোগ খুঁজছে… দুর্ভাগ্যবশত তাদের সেটা সফল হওয়ার সুযোগ নাই। কারণ এইসবের মাধ্যমে, এটাকে রাজনীতিকরণের মাধ্যমে মানুষের চোখ অন্যদিকে নিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কুমিল্লায় কারা ওই ঘটনা ঘটিয়েছে এটা সবাই জানে। আমি যতটুকু জেনেছি এটা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত এরকম কেউ যেটা সোশ্যাল মিডিয়াতেও এসেছে, বিভিন্ন পত্রিকায়ও খবরটি এসেছে।

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক

আমীর খসরু বলেন, দুইটি রাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক... আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশের সাথে সম্পর্ক থাকতে হবে। তবে সম্পর্ক থাকার জন্য তো কতগুলো প্রিকন্ডিশন থাকে তাই না। সম্পর্ক যদি রাখতে হয় বাংলাদেশ ভারতের সম্পর্কটা হতে হবে পাস্পরিক প্রতি সন্মানবোধের আলোকে, এই সম্পর্কটা হতে হবে পরস্পরের প্রতি স্বার্থরক্ষা স্বার্থে। এই সম্পর্কটা হতে হবে যেখানে কোনো অভ্যন্তরীন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার সুযোগ থাকবে না... এই বিষয়গুলো তো সামনে থাকতে হবে। এই বিষয়গুলো যখন নিশ্চিত করা ‍যাবে… আমি মনে করি আমাদের সম্পর্কটা এগিয়ে নিয়ে যাওয়াটা আরও সহজ হবে।

সংবাদ সম্মেলনে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।