
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আত্মপ্রকাশ করে নতুন রাজনৈতিক দল ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)’। ইতোমধ্যে দলটি প্রতিষ্ঠার চার মাস পূর্ণ করেছে। জুলাইয়ের অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী নেতাকর্মীদের একাংশের নেতৃত্বে এই দলটি যাত্রা শুরু করে।
দলের আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন সাবেক তথ্য উপদেষ্টা এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক প্রধান সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম। সদস্যসচিব করা হয়েছে আখতার হোসেনকে। এছাড়া সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সামান্তা শারমিন ও আরিফুল ইসলাম আদীব। সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব পদে রয়েছেন তাসনিম জারা ও নাহিদা সারওয়ার নিবা।
মুখ্য সমন্বয়ক হিসেবে রয়েছেন নাসিরউদ্দীন পাটোয়ারী এবং দক্ষিণাঞ্চলের জন্য মুখ্য সমন্বয়কের দায়িত্বে আছেন হাসনাত আবদুল্লাহ। উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হিসেবে আছেন সারজিস আলম এবং যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক হয়েছেন আব্দুল হান্নান মাসউদ।
দলটির সূত্র জানিয়েছে, আত্মপ্রকাশের পর থেকেই এনসিপি ধীরে ধীরে দেশব্যাপী সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করে। ইতোমধ্যে সারাদেশে ২৫৩টি সেল, উইং এবং কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪টি সেল, ১০টি উইং এবং ২২৯টি কমিটি রয়েছে। কমিটিগুলোর মধ্যে জেলা পর্যায়ে ৩৪টি, উপজেলা পর্যায়ে ১৯০টি এবং মহানগর পর্যায়ে ৫টি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব এবং মিডিয়া সেলের সাধারণ সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘সারাদেশে সাংগঠনিক গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা ধারাবাহিকভাবে কমিটি গঠন করছি। ইতোমধ্যে ৩৪টি জেলা, ৫টি মহানগর ও ১৯০টি উপজেলা কমিটি দেওয়া হয়েছে।
চলমান প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে জুলাই মাসে আমাদের যে ‘পদযাত্রা’ কর্মসূচি শুরু হবে, সেটির মাধ্যমে সাংগঠনিক কার্যক্রম আরও বেগবান হবে এবং বাকি কমিটিগুলোও পূর্ণতা পাবে বলে আমরা আশা করছি।’