
ড. মুহাম্মদ ইউনূস নির্বাচন দেবেন না, নির্বাচন ছাড়াই পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকবেন- এটা অনেকটা নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল। এ নিয়ে বিএনপির সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের টানাপোড়েন চলছিল একেবারে শুরু থেকেই। নির্বাচনের সময় নির্ধারণের জন্য বিএনপি ক্রমাগত চাপ দিয়ে আসছিল প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে। কিন্তু ড. ইউনুস কোনো চাপেই কর্ণপাত করছিলেন না। এদিকে ডিসেম্বরে নির্বাচন আয়োজনের বিএনপির দাবিকে উপেক্ষা করে এপ্রিল মাসকে নির্বাচনের সময় হিসেবে নির্ধারণ করলেন প্রধান উপদেষ্টা। জামায়াত এবং এনসিপি এতে অত্যন্ত খুশি। কারণ, জামায়াতের কথা রেখেছেন প্রধান উপদেষ্টা। ভেতর থেকে তারা জানেন, এপ্রিল মাসেও নির্বাচন হবে না। এপ্রিলে নির্বাচন অনুষ্ঠানের মতো পরিবেশও থাকবে না। প্রাকৃতিক পরিবেশের বৈরিতা ছাড়াও সংস্কার এবং ঐকমত্যের বেড়াজালে ফেলে নির্বাচনকে ঝুলিয়ে দেয়া হবে, এতে তারা নিশ্চিত ছিলেন।
কিন্তু তারমধ্যেই হঠাৎ সবকিছু ওলট-পালট হয়ে গেলো। পরের সপ্তায় অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটলো। ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারি সফরের কথা বলে লন্ডন গেলেন। কিন্তু দেখা গেলো, এটি আদৌ কোনো সরকারি সফর ছিল না। এ নিয়ে চরম বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হলো ড. ইউনূসসহ সরকারের কর্তাব্যক্তিদের। পুরষ্কার গ্রহণ অর্থাৎ নিজের ব্যক্তিগত কাজে সরকারি অর্থ খরচ করে তিনি বিরাট বহর নিয়ে লন্ডন গেছেন, যা নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছিল। তারমধ্যেই লন্ডনে হয়ে গেলো, ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং তারেক রহমানের মধ্যকার বহুল আলোচিত বৈঠকটি। দীর্ঘ দেড় ঘন্টার ওয়ান টু ওয়ান বৈঠকের পরে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন নিয়ে সমঝোতার বার্তা বেরিয়ে এলো। যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। সংবাদ সম্মেলনে উভয় পক্ষই বৈঠকটিকে ফলপ্রসু এবং সন্তুষ্ট বলে উল্লেখ করলেন।
বৈঠকটি যে সন্তোষজনক হবে এটা বিএনপি আগে থেকে নিশ্চিত ছিল। সরকারের তরফ থেকে বিএনপিকে এটা নিশ্চিত করা হয়েছিল। আর তাই এর দুদিন আগে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৈঠকটিকে রাজনীতির ‘টার্নিং পয়েন্ট’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। রুহুল কবির রিজভীসহ বিএনপির অন্যান্য নেতারাও এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে আগাম বক্তব্য রেখেছেন। বিএনপির মধ্যে নির্বাচন নিয়ে যে অনিয়শ্চতা ছিল তা লন্ডন বৈঠকের পর পুরোপুরিই কেটে যায়। এবং উৎসাহের ভাব ফুটে উঠে। কিন্তু অন্যদিকে একই সঙ্গে জামায়াত এবং নবগঠিত রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি- এনসিপির মধ্যে চরম ক্ষোভ ও দুশ্চিন্তা ফুটে উঠে। এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী ১৩ জুন ওইদিনই তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন, লন্ডনের বৈঠক জুলাই অভ্যূত্থানের সঙ্গে বেঈমানী। জামায়াত ওইদিন কী করবে ভেবে উঠতে পারছিল না। বলা যায়, অনেকটা হতবাক ছিল। পরের দিন জামায়াতের পক্ষ থেকে বৈঠকের বিষয়ে তীব্র নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়।
বৈঠকটির আয়োজন যেভাবে হলো
গণমাধ্যমে প্রথমে খবর প্রকাশিত হলো এভাবে, ড. মুহাম্মদ ইউনূস লন্ডন সফরকালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাঁর সঙ্গে সাক্ষাত করবেন। খবরটি যেভাবে প্রকাশিত হয়েছে তাতে যে কারোই মনে হতে পারে যে, তারেক রহমান প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য সময় চেয়ে নিয়েছেন এবং তিনি অপেক্ষা করছেন ড. ইউনূসের জন্য। বাস্তবে কিন্তু তা নয়। আসল ঘটনা হলো, বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই সরকারের তরফ থেকে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছিল বৈঠকে তারেক রহমানকে রাজি করানোর জন্য। কিন্তু তাতে কাজ হচ্ছিল না। পরবর্তীতে সরকারের একজন উপদেষ্টা সাক্ষাত করেন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে তাঁর বাসায়। তারপরেই বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়। তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন স্থায়ী কমিটির সভায়। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, তারেক রহমান লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেবেন। তারপরই খবরটি ফাঁস হয়। বৈঠকের আয়োজন করে সরকারই মূলতঃ। এবং এই বৈঠকে কী আলোচনা এবং সিদ্ধান্ত হবে তা দু’দিন আগেই লিখিতভাবে চূড়ান্ত করা হয়েছে। আর এ কারণেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, রুহুল কবির রিজভীসহ বিএনপির নেতারা এই বৈঠকের সফলতা নিয়ে আগাম এতটা নিশ্চিত ছিলেন। লন্ডন বৈঠকটির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানের এই বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা, যার পদত্যাগের দাবিতে বিএনপি ছিল সোচ্চার। তাছাড়া পোর্টফলিও অনুযায়ী ড. খলিলুর রহমানের এই বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা নয়। অথচ তিনিই এ বৈঠক আয়োজন এবং যৌথ সংবাদ সম্মেলনের মূল ভূমিকায় ছিলেন সরকারের তরফ থেকে।
কেন ড. ইউনূস সমঝোতার পথে গেলেন?
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে জুলাই পরবর্তী অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের নেপথ্যে ছিল মূলতঃ যুক্তরাষ্ট্র। দীর্ঘকাল আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্র এ অঞ্চলে ঢোকার চেষ্টা করে আসছিল। কিন্তু সফল হচ্ছিল না। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে যুক্তরাষ্ট্র সেন্ট মার্টিন দ্বীপ চেয়েছিল। বিএনপি তাদের সেই ইচ্ছে পূরণ করেনি। আর এ কারণেই ওয়ান ইলেভেন সংঘটিত হয়। এটা মোটামুটি প্রায় সবাই জানেন। শুধু ওয়ান ইলেভেনই নয়, পরবর্তী নানা কৌশলে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসীন রাখা এবং বিএনপিকে ক্ষমতায় আসতে না দেয়ার কাজেও নেপথ্য থেকে যুক্তরাষ্ট্র মূথ্য ভূমিকা পালন করেছে। যদিও এদেশের সাধারণ মানুষ জানে, আওয়ামী লীগকে এত দীর্ঘকাল ক্ষমতায় টিকিয়ে রেখেছে শুধুমাত্র ভারত, আদতে তা নয়। ভারতের সরাসরি ভূমিকা ছিল এতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে মূল কাজটা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিএনপির সঙ্গে বন্ধুত্বের ভাব দেখিয়ে তলে তলে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখার কাজটা সম্পন্ন করেছে ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে। কিন্তু যেই উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রেখেছে তা তাদের বাস্তবায়ন হয়নি। আর এ কারণেই পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ বিরোধী অবস্থান নিয়েছিল। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে শেখ হাসিনার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র দুটি সামরিক চুক্তির খসড়াও আদান-প্রদান করেছিল। খসড়া চূড়ান্ত করার কথা ছিল পরের মাসে। এবং এপ্রিল, ২০২৩-এ চুক্তি স্বাক্ষরের কথা ছিল। কিন্তু ভারতের বাধার কারণে এটি হতে পারেনি।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র তাদের সেই উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে চেয়েছে। এ লক্ষ্য অর্জনের অনেকটা কাছাকাছি চলে গিয়েছিল মানবিক করিডর উদ্যোগের মাধ্যমে। কিন্তু এই মানবিক করিডর ইস্যু নিয়ে দেশের মধ্যে এত বেশি প্রতিক্রিয়া হয় যে, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে তা সামাল দেয়া কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে করিডরের পরিকল্পনা থেকে আপাততঃ সরে আসতে হয় সরকারকে। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, মানবিক করিডর নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সরকার ড. ইউনূসকে এটি আপাততঃ স্থগিত রাখতে পরামর্শ দেয়।
বস্তুত, মানবিক করিডর ইস্যুটি অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য হিতে বিপরীত হয়েছে। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর ওপর থেকে সমর্থন হারিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, জামায়াত-এনসিপি ছাড়া আর কেউ নেই ড. ইউনূস সরকারের পেছনে। জামায়াত-এনসিপিকে সঙ্গে নিয়ে খুব বেশি দূর এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়, এটা তিনি বুঝতে পেরেছেন। মানবিক করিডর ইস্যুতে নাজুক পরিস্থিতিতে পদত্যাগেরও হুমকি দিয়েছিলেন প্রধান উপদেষ্টা। এটিকে বিএনপি নেতারা ‘ব্ল্যাকমেইল’ বলেই আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলতে চেয়েছেন, ক্ষমতা ছেড়ে দিলে বিএনপি ক্ষমতা পাবে না। অন্য দিকে চলে যাবে। কিন্তু বিএনপির পক্ষ থেকে পরোক্ষভাবে এই ম্যাসেজ দেয়া হয়েছে যে, নির্বাচন না দিয়ে এভাবে ক্ষমতা ছাড়লে ড. ইউনূস এবং তাঁর অনুসারীরাই বিপদে পড়বেন। আর এ কারণেই শেষ পর্যন্ত বিএনপির সঙ্গে সমঝোতায় যেতে বাধ্য হয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস, বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
জামায়াত-এনসিপি কেন ক্ষুব্ধ?
বৈঠকের পর অন্তর্বর্তী সরকার ও বিএনপির পক্ষ থেকে যৌথ বিবৃতিতে মূলত নির্বাচনের সময়কে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এই বৈঠককে কেন্দ্র করে সবার নজরও ছিল সেদিকে। কারণ এর আগে অধ্যাপক ইউনূস গত ৬ জুন জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা দিয়েছিলেন। আর বিএনপি ডিসেম্বরে নির্বাচন দাবি করে আসছিল। যৌথ বিবৃতিতে ফেব্রুয়ারিতে অর্থাৎ দুই পক্ষের মাঝামাঝি সময়ের বিষয়ে দুই পক্ষের সম্মতির কথা উঠে এসেছে।
গণমাধ্যমে যৌথ বিবৃতি প্রকাশের পর লন্ডনের এই বৈঠক নিয়ে নানা মন্তব্য দিতে শুরু করেছেন রাজনৈতিক নেতারা। এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম বলেছেন- অধ্যাপক ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠকে নির্বাচনের মাস ও তারিখ যেভাবে গুরুত্ব পেয়েছে অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আকাক্সক্ষা বিচার ও সংস্কার সেভাবে প্রাধান্য পায়নি। তাদের ভাষ্য, এই সরকার শুধু নির্বাচন দেওয়ার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো রূপ নয়, বরং একটি অভ্যুত্থানের ওপর দাঁড়িয়ে, দেশের মানুষের অসংখ্য ত্যাগের ওপর দাঁড়িয়ে জনগণের আশা আকাক্সক্ষার কাছে দায়বদ্ধ একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী আরো কড়া ভাষায় এর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন, গণঅভ্যূত্থানের সঙ্গে বেঈমানী করা হয়েছে।
জামায়াত ওইদিন তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া না দিয়ে কিছুটা সময় নিয়েছে। দলটি বিষয়টিকে যে অধিকতর গুরুত্ব দিয়েছে তার প্রমাণ হলো, তারা নির্বাহী পরিষদের বৈঠক ডেকেছে। পরের দিন ১৪ জুন এই বৈঠক শেষে গণমাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে লন্ডনের বৈঠক নিয়ে দলটির অসন্তোষ প্রকাশ পেয়েছে।
জামায়াত বিবৃতি দিয়ে বলেছে, লন্ডনে সফরকালে তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক, বিদেশে যৌথ প্রেস ব্রিফিং এবং বৈঠকের বিষয় সম্পর্কে যৌথ বিবৃতি দেওয়া দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির ব্যত্যয় ঘটেছে। এর মাধ্যমে অধ্যাপক ইউনূস বিএনপির প্রতি বিশেষ অনুরাগ প্রকাশ করেছেন, যা তার নিরপেক্ষতা ক্ষুন্ন করেছে বলে মনে করছে জামায়াত।
নির্ভরযোগ্য সূত্রমতে, দু’পক্ষের যৌথ বিবৃতিতে শুধুমাত্র নির্বাচনের সময়ের বিষয়টা প্রকাশ পেলেও ওয়ান টু ওয়ান বৈঠকে শুধু এটি নিয়েই যে আলোচনা হয়েছে তা নয়। ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং তারেক রহমানের মধ্যে পুরো দেড় ঘণ্টা আলোচনা হয়েছে। এবং এতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় স্থান পেয়েছে। উভয় পক্ষের মধ্যে সেই অনুযায়ী সমঝোতাও হয়েছে। এই সমঝোতার অর্থ দাঁড়ায় জামায়াত এবং এনসিপির জন্য মহাবিপদ সংকেত। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, বর্তমান অন্তর্বতী সরকারের আমলে প্রশাসনিকসহ সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছে জামায়াত এবং এনসিপি। নির্বাচন হলে এসব সুযোগ-সুবিধা পুরোটাই তাদের হাতছাড়া হয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, সামনে মহাবিপদ সংকেতও দেখছে দল দুটি। আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় এলে এই দল দুটি সংকটের মধ্যে পড়তে হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। এসব চিন্তাই মূলতঃ তাদেরকে ক্ষুব্ধ করে তুলেছে।