Image description
 

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট থেকে পলাতক ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ও শিবির নেতা তুহিন হত্যা মামলার আসামি এজাবুল হক বুলি। অভিযোগ রয়েছে, এ মামলায় জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর তিনি কলেজে উপস্থিত না হয়েই নিয়মিত বেতন তুলেছেন। তার বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে স্থায়ী বরখাস্তের দাবি জানিয়েছেন কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা।

 

এমন অবস্থায় সদর উপজেলার আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ এজাবুল হক বুলি ১০ মাস পর কলেজে উপস্থিত হয়েছেন। তাকে অধ্যক্ষের চেয়ারে বসাতে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির লতিফুর রহমান। এ নিয়ে কলেজের শিক্ষকদের সঙ্গে সভাও করেছেন তিনি।

 

কলেজের শিক্ষক, কর্মচারী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতন হলে গা ঢাকা দেন এজাবুল হক বুলি। এরমধ্যেই তার বিরুদ্ধে ছাত্রশিবির নেতা তুহিন হত্যা মামলা হয়। এই মামলায় চলতি বছরের ১০ মার্চ আদালতে উপস্থিত হয়ে আগাম জামিন চাইলে তা না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। পরে জামিন পান তিনি।

 

কলেজের দুজন শিক্ষক ও একজন কর্মচারী বলেন, গত ১০ মাস থেকে পলাতক ছিলেন এজাবুল হক বুলি। কিন্তু বেতন তুলেছিলেন ঠিকই। এখন হঠাৎ করেই ২৫ জুন কয়েক মিনিটের জন্য কলেজে এসেছিলেন। আজকে (২৬ জুন) দ্বিতীয় দিনের মতো কলেজে আসেন। এ নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিলে কলেজে উপস্থিত হন জামায়াত নেতা লতিফুর রহমান। এমনকি শিক্ষকদের নিয়ে বসে পরীক্ষা কমিটি গঠনের বিষয়ে কথা বলেন। মূলত তিনি এজাবুল হক বুলিকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছেন।

 

এ বিষয়ে জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির লতিফুর রহমান বলেন, এ নিয়ে এই কলেজে আসা তিনবার হয়েছে। দীর্ঘদিন অধ্যক্ষ না থাকায় কলেজের লেখাপড়া বিঘ্ন হচ্ছে। তাই পরিবেশ ঠিক করার জন্য উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে ঠিক করার চেষ্টা করছি। এমনকি তাকে (অধ্যক্ষ এজাবুল হক বুলি) তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য বলেছি। এজাবুল হক বুলিকে স্বপদে বসাতে দৌড়ঝাঁপের অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।

 

এ নিয়ে এজাবুল হক বুলি বলেন, আমাকে পদে বসাতে নয় তিনি এলাকার একজন অভিভাবক হিসেবে কলেজের পরিবেশ ঠিক করতেই এসেছিলেন। দীর্ঘদিন কেন অনুপস্থিত ছিলেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাকে নিয়ে মব তৈরির কারণে আসতে পারিনি। আর ২০১৮ সালের পর থেকে কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে আমার সম্পৃক্ততা নেই।