
কক্সবাজারের চকরিয়ায় সাংবাদিক ও সমন্বয়ক দিয়ে সরকারি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ কানন। গত ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আত্মগোপনে চলে যান।
বুধবার (২৫ জুন) নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা কাননকে আটকের পর মামলা হয়েছে চকরিয়া থানায়।
মামলার এজাহারে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে কানন নিজেকে সমন্বয়ক দাবি করে পরিষদের নারী উদ্যোক্তা আসমাউল হুসনার কক্ষে প্রবেশ করেন। এ সময় কানন বলেন, ‘এখানে জনসাধারণের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে, আমি সমন্বয়ক এবং ক্রাইম রিপোর্টারও। আমাকে ৫ হাজার টাকা দিতে হবে, তা না হলে নিউজ করে দেব।
এ সময় কানন উদ্যোক্তা আসমাউল হুসনাকে চাকরিচ্যুতি ও মানহানিকর অপপ্রচারের ভয়ও দেখায়। তাৎক্ষণিক বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা, গ্রাম পুলিশ, দফাদারকে জানালে অভিযুক্ত কানন তাদের প্রতিও অশোভন আচরণ, হুমকি ও সরকারি কাজে বাধা দেন। স্থানীয়রা ৯৯৯-এ ফোন করে খবর দিলে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। কানন কোনাখালী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কুতুবদিয়া পাড়ার জাকারিয়ার ছেলে।
এ ব্যাপারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চকরিয়া উপজেলা ছাত্র প্রতিনিধি মোবারক হোসেন জিসান ও সাঈদ হাসান বলেন, ‘নিজেকে সমন্বয়ক ও কথিত সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া কানন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চকরিয়া উপজেলার প্রতিনিধিত্বমূলক কোন কমিটিতে নেই। সে একজন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী।’
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, পুলিশের জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থল ঢেমুশিয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কানন নামের এক প্রতারককে চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক করা হয়। এর আগে তাকে উপস্থিত জনতা পিটুনি দেয়।
চকরিয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার অভিজিত দাস বলেন, প্রতারণা, চাঁদাবাজি, সরকারি কাজে বাধা ও নারীকে হেনস্তার অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।