Image description

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেছেন- মনে রাখতে হবে স্বৈরাচারের দোসররা আমাদের বাড়ির আশপাশে, শহর ও গ্রামগঞ্জে রয়েছে। তাদের কাছে লুণ্ঠিত অনেক অর্থ রয়েছে। আপনাকে অথবা দলের নেতাকর্মীদের বিভ্রান্ত করতে পারে। বাঁচার জন্য বিভিন্ন ধরনের কুৎসা রটনা, বিভিন্ন ধরনের কর্মকৌশল করতে পারে। সেই ষড়যন্ত্রে আমরা যাতে পা না দেই।

রোববার দুপুরে ১৯ বছর পর অনুষ্ঠিত মৌলভীবাজার সদর উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এদিকে সম্মেলন ও কাউন্সিল বাতিলের দাবিতে বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি করেন।

ডা. জাহিদ আরও বলেন, আজকে অনেকে নানা ধরনের কথা বলেন। সুস্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই- বিএনপির ঠিকানা বাংলাদেশের ২২ কোটি মানুষের মাঝে বিস্তৃত। বিএনপিকে একটু ধাক্কা দিলে হেলে পড়বে, এটি ভাবার কারণ নেই। পলায়নকৃত স্বৈরাচার সরকার শত শত গুম, হত্যা, লাখ লাখ মামলা ও আসামি করে ১৭ বছরেও বিএনপিকে দমিয়ে রাখতে পারেনি।

মৌলভীবাজার সদর উপজেলার এম সাইফুর রহমান স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণে আয়োজিত সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন- বিএনপির সিলেট বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউছ, সহ-সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এম নাসের রহমান।

সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক বদরুল আলমের সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপন এবং সদস্য বকসি মিসবাহ উর রহমানের যৌথ সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন- যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এমএ মালেক, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফয়জুল করিম ময়ূন, বিএনপি নেতা হাজী মুজিবুর রহমান মুজিব।

এদিকে সম্মেলন ও কাউন্সিল বাতিলের দাবিতে বিএনপির (একাংশের) নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি করেন। উপজেলা সম্মেলন চলাকালে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে শহরে বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভ মিছিল শহরের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে সেন্ট্রাল রোডের হামিদিয়া পয়েন্টে গিয়ে প্রতিবাদ সভার মাধ্যমে শেষ হয়।

মৌলভীবাজার সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মুহিতুর রহমান হেলালের সভাপতিত্বে ও সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য ওয়াহিদুর রহমান জুনেদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাহমুদুর রহমান, মাহবুব ইজদানী ইমরান, সেলিম মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খালিছুর রহমান, হুমায়ূন কবির, সাহাব উদ্দিন আহমদ ও সাবেক চেয়ারম্যান এনামুল হক রাজা প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা অবিলম্বে সদর উপজেলার অধীনে ১২টি ইউনিয়ন ও উপজেলা বিএনপির সম্মেলন ও কাউন্সিল বাতিল করে নিরপেক্ষ ও নির্যাতিত নেতাদের অন্তর্ভুক্ত ও সমন্বয় করে ইউনিয়ন কমিটি গঠনের মাধ্যমে আগামীতে নতুন করে কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণার দাবি জানান। অন্যথায় নেতাকর্মীরা কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।