Image description

আমজনতার দলের সদস্য সচিব মো. তারেক রহমান বলেছেন, ৫ আগস্টের পূর্বের ট্রমাটিক সিচুয়েশন কেমন ছিল। তা আসলে হাজার শব্দ লিখে প্রকাশ করা যাবে না। ৫ তারিখ ৯.৪৫ মিনিটে আদেশ এল আমার নাকি ১০ দিনের রিমান্ড হইছে। পিঠের ঘা শুকাই নাই গত ১৫ দিনেও।

দুর্বিসহ সেই বিষয়গুলো এখনো নির্ঘুম রাতের কারণ। মাঝে মাঝে মনে হয়, সব আগের মতই আছে। ঘুমের মাঝে ভাবছি, লাল পঁচা রুটি ঘুম ভেঙ্গে জেলে খাব কি করে।

শনিবার রাতে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।

পোস্টে তিনি আরো লিখেন, আমি জানি না অপরাপর রাজনৈতিক সহযোদ্ধাদের ক্ষেত্রেও এই ট্রমাটিক ইস্যুটা থেকে গেছে কি না। ডিবির গারদে আমার পা গুলো ফুলে বুম হয়ে গেছে, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ভাই বললেন তারেক ভাই এভাবে শুয়ে থাকেন না, একটু একটু হাঁটেন। তিনি আমাকে উঠাতে প্রথমে পায়ের পেশিগুলোতে মেসেজ করতেন, ধরে টেনে তুলতেন হাঁটাতেন। শুধু আমি না, অন্য আহত আর রিমান্ড ফেরতদেরকেও এভাবে আদর করতেন।

তিনি বলেন, ওনার থেকে শিখে, আমি একটু সুস্থ হলে আমিও নতুন আটক হওয়াদের সেবা করতাম। বিপদের বন্ধুত্ব অন্য রকম একটা আবেগের। ট্রমাটিক সিচুয়েশনে বাঁচার জন্য মায়া ছিল তা। 

আমজনতার দলের সদস্য সচিব আরো বলেন, নুরুলহক নুর তার কাছে থাকা সব গুলো অষুধ দিয়ে দিল আমাকে। তাহের ভাইও দিয়ে দিলেন।

সবগুলো ভাগ করে প্ততিটি ফ্লোরে দিয়ে দিলাম৷ চুলকানিতে ঘা হয়ে যাচ্ছিল, চুরি করে নেইল কাটার নিয়ে এসে সব সেলে গিয়ে গিয়ে নখ কেটে দিতাম। যাতে ইনফেকশন হতে বাঁচতে পারে সবাই। জুলাই পরবর্তী, আহতদের তালিকা, গুম কমিশন, বা কোথাও কোন নাম লিখাই নাই আমরা। আমি আসলে কারো বিচার চাই না, আমি জানি এই চাওয়া অহেতুক, এ এক নতুন নাট্য মঞ্চ। এখন শুধু ট্রমাটিক পরিস্থিতিটা স্বাভাবিক হলেই আলহামদুলিল্লাহ।