Image description

ইরান ও গাজায় চলমান ইসরায়েলের হামলা, দখলদারি ও মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির। একই সঙ্গে এ ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

মঙ্গলবার সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ঘাতক ইসরায়েলের আগ্রাসন আন্তর্জাতিক আইন, বিশ্ব মানবতা এবং মুসলিমবিশ্বের অস্তিত্বের জন্য সরাসরি হুমকি।

 
আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছি, সাম্প্রতিককালে ইসরায়েল মুসলিমবিশ্বের বিরুদ্ধে তাদের আগ্রাসন অব্যাহত রেখেছে এবং এর সর্বশেষ উদাহরণ ইরানের রাজধানী তেহরানে একাধিক বিমান হামলা।

 

তারা বলেন, গত শুক্রবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টায় ইরানের সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরায়েল। হামলায় ইরান রেভল্যুশনারি গার্ডের কমান্ডার, সেনাপ্রধান এবং কমপক্ষে ৬ জন পরমাণুবিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন। সোমবার ইসরায়েল একটি টিভি চ্যানেলে বোমা মেরে তিনজন সাংবাদিককে হত্যা করেছে।

 
এ ছাড়া অন্তত ২২৪ বেসামরিক মানুষকে হত্যা করেছে।  ইসরায়েলি নৃশংসতা থেকে রেহাই পাচ্ছে না নারী ও শিশুরা। এই আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় ইরান পাল্টা হামলা শুরু করেছে। বর্তমান পরিস্থিতি ইঙ্গিত করে যে, এই সংঘাত শুধু মধ্যপ্রাচ্যের জন্য হুমকি নয়, বরং গোটা বিশ্বের জন্যই মারাত্মক হুমকি।

 

নেতৃবৃন্দ বলেন, ইরানে এই পরিকল্পিত গণহত্যা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং এটি ইসরায়েলের পরিকল্পিত হামলারই অংশ। গত এক দশক ধরে ইসরায়েল সিরিয়া, ইরাক এবং লেবাননে বারবার হামলা চালিয়েছে, ইরানের সাবেক রাষ্ট্রপতি ইবরাহীম রাইসি এবং লেবাননের হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহসহ হাজার হাজার মানুষকে ইসরায়েল ইতিপূর্বে হত্যা করেছে।

তারা বলেন, ‘আমরা ইসরায়েল রাষ্ট্রের সন্ত্রাসী ও বর্বর আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। চলমান যুদ্ধে ইরানকে সমর্থন দিতে সমগ্র মুসলিম জাতি, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, মানবাধিকার সংস্থা এবং বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানাই।’