
গোটা মধ্যপ্রাচ্যে দখলদার ইসরায়েল যেন এক অপ্রতিদ্বন্দ্বী শক্তি। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের আশীর্বাদের সুবাদে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় বছরের পর বছর গণহত্যা চালানো এই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘টুঁ’ শব্দটি করতেও যেন সাত-পাঁচ ভাবতে হয় আরব-মুসলিম দেশগুলোকে। তবে এই স্রোতের বিপরীতে একা ঠায় দাঁড়িয়ে আছে ইরান।
বিভিন্ন সময়ে ইসরায়েলের চোখ রাঙানি আর আগ্রাসনের যথাসাধ্য জবাব দিয়েছে তারা। সেই ধারাবাহিকতায় গত ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানে যে বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে, তারও পাল্টা জবাব দিয়েছে তেহরান। তবে তার আগেই তারা হারিয়েছে শীর্ষ সামরিক নেতৃত্বকে। গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে ভোরে নিখুঁত ‘অপারেশন’ চালিয়ে ইসরায়েল হত্যা করেছে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী প্রধান, সেনাপ্রধান, পরমাণু বিজ্ঞানীসহ অনেক শীর্ষ কর্মকর্তাকে।
এক্ষেত্রে বরাবরের মতো সামনে এসেছে তাদের গোয়েন্দা ব্যর্থতা। এর আগেও বহুবার দেখা গেছে, দেশটির গোয়েন্দা সংস্থাগুলো দেশের অভ্যন্তরে কিংবা সীমান্তবর্তী অঞ্চলে শত্রুপক্ষের কর্মকাণ্ড সময়মতো শনাক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলা এই ব্যর্থতাকে মোটাদাগে আলোচ্য বানিয়েছে।
সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনাসহ অত্যন্ত সুরক্ষিত ও সংবেদনশীল স্থাপনায় একের পর এক আঘাত ইরানের গোয়েন্দা ব্যবস্থার দক্ষতা ও সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। হামলার ধরন ও সময় ইঙ্গিত দেয়, ইসরায়েল বহুদিন ধরেই এই অভিযান পরিচালনার প্রস্তুতি নিচ্ছিল এবং তাদের হাতে নির্ভরযোগ্য ও নিখুঁত গোয়েন্দা তথ্য ছিল। বিপরীতে, ইরানি নিরাপত্তা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাৎক্ষণিক বা আগাম প্রতিক্রিয়া জানাতে ব্যর্থ হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও পশ্চিমা দেশগুলো দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে যে, ইরান গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে। যদিও তেহরান তা অস্বীকার করে, তবু ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি থেকে ধীরে ধীরে সরে আসে। এই চুক্তির মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বিনিময়ে ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম সীমিত রাখা হয়েছিল। অথচ ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্রই একতরফাভাবে এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসে।
ইসরায়েলি বিশ্লেষক মাইকেল হরোভিৎজ এএফপিকে বলেন, ইসরায়েল গত ১৫ বছর ধরে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির ওপর নজর রাখছে। তার মতে, শুক্রবার (১৩ জুন) ভোর থেকে শুরু হওয়া হামলা বহু বছরের গোয়েন্দা তৎপরতা এবং দেশটিতে অনুপ্রবেশের ফল। হরোভিৎজ আরও বলেন, ‘এই সপ্তাহের অভিযানটি বহু মাস ধরে পরিকল্পিত ছিল। গত বছর অক্টোবরের হামলার পর ইরানের বিমান প্রতিরক্ষার দুর্বলতা স্পষ্ট হয়, যার ফলে ইসরায়েল নতুন পরিকল্পনায় বেপরোয়া হয়ে ওঠে। ’
ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা ইরানে ২০টি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আঘাত হেনেছে, যেগুলোর অধিকাংশই সামরিক কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। বিশ্লেষকদের মতে, এসব আঘাত ইরানের অভ্যন্তরে দীর্ঘমেয়াদি এবং কার্যকর গোয়েন্দা তৎপরতারই প্রমাণ।
তেল আবিবভিত্তিক ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্টাডিজের বিশ্লেষক ড্যানি সিট্রিনোভিজ বলেন, এটি এমন একটি অভিযান, যার ভিত্তি তৈরি হয়েছে দীর্ঘ সময় ধরে ইরানের অভ্যন্তরে নিখুঁত গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে। এতে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ও পরমাণু বিজ্ঞানীদের অবস্থান শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
২০২৪ সালের জুলাইয়ে ইসরায়েল গাজার স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের নেতা ইসমাইল হানিয়াকে তেহরানের এক গেস্টহাউসে হত্যা করে। তিনি সেসময় ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। ধারণা করা হয়, ইসরায়েলি গোয়েন্দারা এর আগেই ওই গেস্টহাউসে বিস্ফোরক বসিয়ে দিয়ে এসেছিল। তখন বিশ্লেষকরা একে বড় ধরনের গোয়েন্দা ব্যর্থতা বলে উল্লেখ করেছিলেন।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের ইরানবিষয়ক পরিচালক আলি ভায়েজ তখন বলেছিলেন, ‘ইরান যদি নিজের ভূখণ্ড ও প্রধান মিত্রদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে না পারে, তাহলে এটি দেশটির জন্য ভয়াবহ বার্তা— কারণ এতে শত্রুরা বার্তা পায়, তারা চাইলেই ইরানের শীর্ষ নেতৃত্বকেও সরিয়ে দিতে পারে। ’
২০২৪ সালের ১ আগস্ট প্রকাশিত কনজারভেটিভ দৈনিক জোমহুরি ইসলামি এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করে, ‘গোয়েন্দা ব্যবস্থার সর্বোচ্চ স্তরে ব্যর্থতা রোধ করা না গেলে তা ক্ষমার অযোগ্য। ’ তারা গত শতাব্দীর ষাটের দশকে সিরিয়ায় ইসরায়েলি গুপ্তচর এলি কোহেনের অনুপ্রবেশের উদাহরণ টেনে বলে, ‘গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সংস্থায় একটি মৌলিক শুদ্ধি অভিযান দরকার। ’
ইরান দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের বিভিন্ন গোষ্ঠীকে সমর্থন দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক ও রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে আসছে। তবে ইসমাইল হানিয়া হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা ইঙ্গিত দেয়, ইরান নিজেদের যতটা শক্তিশালী বলে দাবি করে, বাস্তবতা তেমনটা নয়।
হানিয়া হত্যাকাণ্ডের ধরন ২০২০ সালে নাতানজে পারমাণবিক স্থাপনায় নাশকতা এবং একই বছরের নভেম্বরে তেহরানে পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফাখরিজাদেহ হত্যার সঙ্গে মিলে যায়। এসব ঘটনায় ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সক্রিয় সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল।
বিশ্লেষকদের মতে, ইরানের নিরাপত্তা কাঠামোর দুর্বলতা এবং মোসাদের অনুপ্রবেশ হানিয়া হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে আরও স্পষ্ট হয়। মোসাদ বছরের পর বছর ইরানের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে এসেছে। শুধু প্রযুক্তিগত নয়, তাদের মানব গোয়েন্দা জালও বিস্ময়কর। এমনকি ইরানের সবচেয়ে বড় শক্তি হিসেবে পরিচিত রেভল্যুশনারি গার্ডসের অভ্যন্তরেও মোসাদের অনুপ্রবেশ ঘটেছে বলে ধারণা করা হয়, যা ইরানের নিরাপত্তায় বড় হুমকি।
ইরানের গোয়েন্দা কাঠামো জটিল। একদিকে গোয়েন্দা মন্ত্রণালয়, অন্যদিকে রেভল্যুশনারি গার্ডসের নিজস্ব গোয়েন্দা শাখা। এই দ্বৈত কাঠামো সমন্বয়ের অভাব তৈরি করে। বার্লিনের গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্টিফটুং উইস্যেনশাফট উন্ট পলিটিকের গবেষক হামিদরেজা আজিজি বলেন, ‘ইরানে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা নিজেদের গণ্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে, ফলে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় শূন্যতা তৈরি হয়। ’
২০০৯ সালের বিতর্কিত নির্বাচনের পর বিক্ষোভের সময় গোয়েন্দা মন্ত্রণালয়ে বড় ধরনের শুদ্ধি অভিযান চালিয়ে বহু সংস্কারপন্থী কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়, যা গোয়েন্দা কাঠামোকে আরও দুর্বল করে। রেভল্যুশনারি গার্ডস বর্তমানে দেশের একটি বড় অর্থনৈতিক শক্তি হওয়ায় তাদের কিছু কর্মকর্তার অর্থনৈতিক লোভ গোয়েন্দা ব্যর্থতার একটি বড় কারণ বলে কেউ কেউ মনে করেন। অনেক সময় তারা প্রধান দায়িত্ব ফেলে তেল বাণিজ্য বা অন্যান্য ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন।
ড্যানি সিট্রিনোভিজ বলেন, ‘হানিয়া হত্যাকাণ্ডের পরও ইরান কিছুই শেখেনি এবং গোয়েন্দা কাঠামোর ফাঁকগুলো বন্ধ করার মতো সক্ষমতাও দেখাতে পারেনি। ’ এর ফলেই সাম্প্রতিক সংঘাতের শুরুতেই ইসরায়েল ইরানের সামরিক নেতৃত্বের বড় অংশকেই নিঃশেষ করে দিতে পেরেছে।
ইরানে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলা নিয়ে অ্যাক্সিওসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের ভেতরে মোসাদ সদস্যরা আগে থেকেই অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরঞ্জাম বিভিন্ন যানবাহনের ভেতর লুকিয়ে রেখেছিল। হামলার সময় সেগুলো সক্রিয় করা হয়। এক ইসরায়েলি গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, মোসাদ ইরানের ভেতরেই একটি আক্রমণাত্মক ড্রোন ঘাঁটি স্থাপন করেছিল, যেসব ড্রোন আগেই সেখানে চোরাইপথে পাঠানো হয়।
দ্য আটলান্টিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাবেক এক ইসরায়েলি গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, ‘যে ইরানিরা ইসলামি শাসনব্যবস্থার বিরোধী, তাদের সহজেই নিজেদের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যায়। এমনকি ড্রোন ঘাঁটি তৈরির কাজেও তারা ইসরায়েলের সহায়ক হয়েছে। ’
ফ্রান্সের গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক উপ-প্রধান আলাইন শুয়েত জানান, তিনি নিশ্চিত যে ইরানের ভেতরে অন্তত অর্ধডজন সক্রিয় মোসাদ সেল রয়েছে।
সাম্প্রতিক হামলায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সর্বশেষ প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে বলে দাবি করেছেন এক ইসরায়েলি গোয়েন্দা কর্মকর্তা। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ তথ্য দ্রুত বিশ্লেষণ করা সম্ভব হয়। তিনি জানান, ‘এই প্রক্রিয়া গত অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছিল এবং এক মাস পর নেতানিয়াহু হামলার পরিকল্পনার অনুমোদন দেন। ’ এক্ষেত্রে সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তুগুলোকে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়েছিল— শীর্ষ নেতৃত্ব, সামরিক, বেসামরিক স্থাপনা ও অবকাঠামো।
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ইরানে কেরমানে হামলায় প্রায় ১০০ জন নিহত হন, যা গোয়েন্দা ব্যর্থতার একটি বড় দৃষ্টান্ত। এর আগেও একাধিক সন্ত্রাসী হামলা, পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের হত্যা, সাইবার হামলা এবং গুরুত্বপূর্ণ নথি চুরির ঘটনা গোয়েন্দা ব্যবস্থার দুর্বলতা স্পষ্ট করে তোলে।
তার আগে ২০১৮ সালে ইসরায়েল তেহরান থেকে ইরানের পারমাণবিক সংরক্ষণাগার থেকে ৫৫ হাজার কাগজপত্র এবং সমপরিমাণ ডিজিটাল ডেটা চুরি করে। তখন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এই তথ্যকে তাদের ‘গোয়েন্দা সাফল্য’ বলেই উপস্থাপন করেন।
মোসাদ কীভাবে ইরানের গোয়েন্দা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দেয়, সেই উত্তর পাওয়া যায় সংস্থাটির সাবেক উপ-পরিচালক রাম বেন বারাকের কথায়। তার কথা হলো, একদিকে ইরানের ‘অজনপ্রিয়’ শাসন ব্যবস্থাই তাদের অনুপ্রবেশ সহজ করেছে।
এসব ব্যর্থতার পেছনে বহু কারণ রয়েছে। যেমন— যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সঙ্গে বৈরিতা, প্রতিবেশী আরব রাষ্ট্রগুলোর বিরূপ মনোভাব, অভ্যন্তরীণ অসন্তোষ, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ইরাকি কুর্দিস্তান ও পূর্ব আজারবাইজানের মতো এলাকায় বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর নিরাপদ আশ্রয় তৈরি হওয়া এবং পাশের দেশ আজারবাইজানে ইসরায়েলি গোয়েন্দা কার্যক্রমের অভিযোগ।
এদিকে আবার গত কয়েক বছরে ইরানে বিক্ষোভ বেড়ে যাওয়ায় গোয়েন্দা বাহিনীর মনোবল ও মনোযোগ ব্যাহত হয়েছে। একইসঙ্গে ভেতরের সদস্যদের মধ্যে আদর্শগত বিভাজন এবং অর্থনৈতিক দুর্দশা বিদেশি শক্তিগুলোর ইরানে গুপ্তচরবৃত্তি সহজ করে তুলেছে। এ ছাড়া ২০০৯ সালে রেভল্যুশনারি গার্ডসের গোয়েন্দা শাখাকে আলাদা সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার ফলে গোয়েন্দা কাঠামোতে দ্বৈততা তৈরি হয়, যার ফলে সমন্বয়হীনতা বাড়ে।
ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার পর ইরানে ব্যাপক গুপ্তচর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তেহরানে ২৮ জনসহ দেশজুড়ে অনেককে ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুই বছর আগে একই অভিযোগে গ্রেপ্তার এক ব্যক্তিকে সোমবার ফাঁসি দেওয়া হয়, যা গোয়েন্দা অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইসরায়েলের পক্ষে পোস্ট শেয়ার করার অভিযোগে বহু মানুষকে আটক করা হয়েছে, বিশেষ করে ইস্পাহানে। সেখানে ইসরায়েল একটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করে। তেহরানের রাষ্ট্রীয় কৌঁসুলির দপ্তর সংবাদমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাবশালীদের নজরদারিতে রাখতে একটি বিশেষ ইউনিট গঠন করেছে।
বিদেশি গুপ্তচরবৃত্তির লাগাম টানতে ইরানি গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় জনগণকে সতর্ক থাকতে বলেছে। মুখোশ, চশমা, টুপি পরা, বড় ব্যাগ বহনকারী কিংবা অস্বাভাবিক আচরণকারীদের চিহ্নিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে। এমনকি দিনের বেলা পর্দা টানা ঘর বা অস্বাভাবিক শব্দ নিয়েও সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
এত পদক্ষেপের পরও ইরানের ভেতরকার তথ্য অন্যান্য দেশের হাতে চলে যাওয়ার আরও একটি উদাহরণ হলো, ট্রাম্পের প্রকাশ্য ঘোষণা, ‘আমরা জানি আয়াতুল্লাহ খামেনির অবস্থান কোথায়, তবে এখনই তাকে মারছি না। ’