Image description

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে জোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এরই মধ্যে প্রায় সব আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে দলটি। সংশ্লিষ্টরা নিজ নিজ এলাকায় সভা-সমাবেশসহ বিভিন্নভাবে গণসংযোগ চালাচ্ছেন।

জামায়াত বলেছে, গত ১৬ এপ্রিল এক প্রেস ব্রিফিংয়ে দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান রোজার আগে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে পারে মর্মে দলের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন। তবে লন্ডনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে একটি দলের প্রতি বিশেষ অনুরাগ প্রকাশ হওয়ায় জামায়াতে ইসলামী মনে করে, এতে প্রধান উপদেষ্টার নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ণ হয়েছে।

তবে নির্বাচনি কার্যক্রমে জামায়াত এরই মধ্যে সিরিয়াস। জোর প্রচারণা শুরু করেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। এ সময় ভোটারদের আকৃষ্ট করতে দুর্নীতিমুক্ত মানবিক দেশ গঠন ও নাগরিক অধিকার নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া নির্বাচন সামনে রেখে নেতাকর্মীদের সংগঠিত রাখাসহ বুথভিত্তিক ইউনিট কমিটি গঠন করে সাধারণ মানুষের কাছে দলের দাওয়াত পৌঁছাচ্ছেন নেতারা। সম্প্রতি ঈদুল আজহা ঘিরে শুভেচ্ছাবিনিময়, কোরবানির গোশত বিতরণ, গণসংযোগসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে নির্বাচনি শোডাউন করেন জামায়াতের প্রার্থীরা। এ সময় ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীকের পক্ষে স্লোগানও দেওয়া হয়।

তবে এককভাবেই সব আসনে নির্বাচন করা হবে, না কি কোনো জোট গঠন করা হবেÑসে বিষয়ে এখনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পরিস্থিতি বিবেচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জামায়াত নেতারা।

এদিকে, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে আগামী নির্বাচনও সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে জামায়াত। নির্বাচন কমিশনের কর্মকাণ্ড নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে দলটি। এ ব্যাপারে সরকারকে আরো কঠোর ভূমিকা রাখার দাবি জানিয়েছেন জামায়াত নেতারা। একই সঙ্গে নির্বাচনের আগে জরুরি সংস্কার ও দৃশ্যমান বিচারের ওপর জোর দিয়েছে দলটি।

গতকাল শনিবার দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠক থেকেও এ বিষয়ে আশা প্রকাশ করে বলা হয়Ñঅবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ থেকে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করবে এবং বিচার ও সংস্কারের ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নিশ্চিত করবে।

এ ছাড়া লন্ডনে যৌথ ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে সরকারের নিরপেক্ষতা এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে যে সংশয় দেখা দিয়েছে, তা নিরসনকল্পে প্রধান উপদেষ্টার ভূমিকা জাতির সামনে স্পষ্ট করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দলটির নির্বাহী পরিষদ।

আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ আমার দেশকে বলেন, নির্বাচনমুখী দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামী শুরু থেকেই আসনভিত্তিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। এরই মধ্যে কয়েকটি বাদে সব আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। তারা নিজ নিজ আসনে গণসংযোগ, দাওয়াতি কাজ ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন।

মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে এককভাবেই আমাদের নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। তবে আগামীতে কোনো জোট হবে কি না, সেটা নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণার পর রাজনৈতিক পরিস্থিতি, দলগুলোর অবস্থান ও ভূমিকার ওপর নির্ভর করে। জোট হবে কি হবে নাÑকিছুই এখন বলা যাচ্ছে না। তবে ইসলামী ও সমমনা দলগুলোর সঙ্গে সূচনা থেকে ঐক্য বজায় রাখা হচ্ছে। আমিরে জামায়াত অনেকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, কথা বলছেন। তিনি চরমোনাই পীরের বাসায়ও গেছেন। এসবের মাধ্যমে ঐক্যের পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা সবার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখছি। সবার সঙ্গে যোগাযোগ অনেক বেড়েছে। এটা অব্যাহত থাকবে।

সূত্রমতে, আগামী নির্বাচনে ইসলামি ও সমমনা দলগুলোর একটি জোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন ইসলামি ও সমমনা দলের মধ্যে আলাদা আলাদা সমঝোতাও হয়েছে। ইসলামি দলগুলোর ভোট যাতে এক বাক্সে যাওয়ার ব্যবস্থা করা যায়, সে কথাও বলেছেন সংশ্লিষ্টরা। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এক মঞ্চে চরমোনাই পীরসহ ইসলামি দলের নেতাদের উপস্থিতিতে আগামীতে একসঙ্গে চলার ঘোষণা দিয়েছেন জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান। ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বেশ কয়েকটি ইসলামি এবং সমমনা দলের সঙ্গে একাধিক বৈঠক ও সমঝোতা করেছেন। খেলাফত মজলিস ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামও একই ধরনের সমঝোতা বৈঠক করেছে। নির্বাচনের আগে জামায়াতের সঙ্গেও এ ধরনের সমঝোতা বা শেষ পর্যন্ত একটি জোট হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে সংশ্লিষ্টরা আভাস দিয়েছেন।

এদিকে দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও এবার জামায়াত বেশ বৈচিত্র্য এনেছে। শুধু দলীয় পদধারীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে বিভিন্ন মাপকাঠিতে যোগ্য প্রার্থী দেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে অনেক প্রার্থীই ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা ও তরুণ। পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের জুলুম-নির্যাতনের শিকার সাবেক শীর্ষ নেতাদের সন্তানদেরও প্রার্থী করা হচ্ছে। আমির হামজার মতো তরুণ বক্তাকেও প্রার্থী করা হয়েছে। স্থানীয় নেতাকর্মীদের মতামত ও দলীয় জরিপের ভিত্তিতেই এসব প্রার্থী চূড়ান্ত করছে জামায়াত।

প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছেÑএমন প্রশ্নের জবাবে মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, প্রথমত সততা দেখা হয়েছে। তারপর যোগ্যতা, গণমুখী চরিত্র, পাবলিক কমিউনিকেশন কেমন, সমসাময়িক বিষয় সম্পর্কে এবং রাজনৈতিক বিষয় সমাধানে ভূমিকা কেমন, রাজনৈতিক সংঘাত মোকাবিলার দক্ষতা ইত্যাদি যাচাই করা হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাচনি ডেডলাইন নিয়ে এতদিন বিভিন্ন বিতর্ক দেখা দিলেও জামায়াতের পক্ষ থেকে বরাবরই বলা হচ্ছিল, প্রয়োজনীয় সংস্কার ও দৃশ্যমান বিচার শেষে সরকার ঘোষিত সময়ের মধ্যে যেন নির্বাচন দেওয়া হয়। সর্বশেষ গত ৩ জুন এক ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান জানান, ভোটের সমতল মাঠ তৈরি হয়ে গেলে এবং ফেয়ার ইলেকশনের পক্ষে জাতি ও সব অর্গান প্রস্তুত হলে যে কোনো সময় নির্বাচনে অংশ নিতে তারা প্রস্তুত। ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যে এ নির্বাচন হতে পারে বলেও তিনি মত দেন।

ঈদুল আজহার আগের দিন এক ভাষণে আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন করার ঘোষণা দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তবে বিএনপি ও সমমনারা ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচনের দাবিতে অনড় থাকায় জটিলতা দেখা দেয়। সর্বশেষ গত শুক্রবার লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক থেকে আগামী রোজার আগের সপ্তাহে তথা ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত এসেছে।

এর আগে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের সময় জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, বেশি সময় না নিয়ে সংস্কারের বিষয়ে দ্রুত ঐকমত্যে পৌঁছানো উচিত। সংস্কার শেষে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দিতে হবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে।

সূত্রমতে, নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে এতদিন অস্থিরতা চললেও বসে থাকেনি জামায়াত। তারা ভোটের প্রস্তুতিকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ শুরু করেছে আগেই। গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই সারা দেশে দলীয় কার্যক্রম ব্যাপকভাবে চালাচ্ছে দলটি। জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ শীর্ষ নেতারা সারা দেশে সভা-সমাবেশে অংশ নিয়েছেন। এ সময় আগামীতে ক্ষমতায় গেলে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি পূরণের আশ্বাসসহ দলের দাওয়াত দিচ্ছেন তারা। কেন্দ্রীয়ভাবে ঘোষিত গণসংযোগ পক্ষ, দাওয়াতি সপ্তাহ ইত্যাদি কর্মসূচি ছাড়াও বিভিন্ন ইস্যুতে নিজ নিজ এলাকায় হাজির হচ্ছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। তারা গণসংযোগ ও সমাজসেবামূলক বিভিন্ন কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য প্রার্থীদের এলাকামুখী হওয়ার কোনো নির্দেশনা না থাকলেও সবাই নিজেদের মতো সময়-সুযোগে নির্বাচনের আগাম প্রচারকাজ চালাচ্ছেন।

গত ঈদুল আজহা ঘিরে নির্বাচনি এলাকায় তৎপরতা আরো জোরদার করেন জামায়াত নেতারা। বিভিন্ন গণসংযোগমূলক কর্মসূচিকে রূপ দেওয়া হয় ‘দাঁড়িপাল্লার’ নির্বাচনি শোডাউনে। এর সঙ্গে নিয়মিত হচ্ছে সভা-সমাবেশসহ ঘরোয়া কর্মসূচি।

সূত্রমতে, ঈদুল আজহার আগেই নিজ নিজ নির্বাচনি এলাকায় ছুটে যান জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। তারা বিভিন্ন কর্মসূচিতে ভোটারদের কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করেন। অনেকেই ঈদের নামাজ আদায় করেন নিজ এলাকার ঈদগাহে। এরপর এলাকাবাসীর সঙ্গে শুভেচ্ছাবিনিময় ও কোরবানির গোশত বিতরণসহ বিভিন্ন উপহার-অনুদান নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান তারা।

এ ছাড়া পর্যায়ক্রমে ঈদ পুনর্মিলনী, কৃতী সংবর্ধনা, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মতবিনিময় ও বিভিন্ন সেবামূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ঈদপরবর্তী সময় কাটাচ্ছেন তারা। এসব কর্মসূচিকে ঘিরে তাদের এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় যাতায়াতে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করেন দলীয় নেতাকর্মীরা। এ সময় প্রার্থীদের পক্ষে ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীকের স্লোগান দেন সংশ্লিষ্টরা।

এ প্রসঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের দলীয় প্রার্থী ও জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য নুরুল ইসলাম বুলবুল আমার দেশকে বলেন, কেন্দ্র থেকে আলাদাভাবে কোনো নির্দেশনা না থাকলেও জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থীরা নির্বাচনের স্বাভাবিক প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই নিজ এলাকায় বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন।

জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান ঢাকা-১৫ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী। তার পক্ষে নির্বাচনি এলাকার জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বহু পোস্টার-ব্যানার টাঙানো হয়েছে। তবে তিনি এবারের ঈদুল আজহা উদযাপন করেন মৌলভীবাজার জেলায় নিজ গ্রামে। কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নের তুলাপুর পাঁচগাঁও ঈদগাহে তিনি ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে এলাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা ও কুশলবিনিময় করেন। পর্যায়ক্রমে তিনি বিভিন্ন এলাকায় ঈদ পুনর্মিলনীসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এ সময় তার বক্তব্যে আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গ প্রাধান্য পায়। তার সঙ্গে স্থানীয় জামায়াত নেতা ও সম্ভাব্য প্রার্থীরা ছিলেন।

গণসংযোগকালে সাধারণ ভোটারদের আকৃষ্ট করতে কী ধরনের কৌশল বা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছেÑসে প্রসঙ্গে ময়মনসিংহ-৫ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, প্রধানত বিগত সময়ে বাংলাদেশে দুর্নীতিতে সয়লাব হয়ে গিয়েছিল, অর্থনীতি ধ্বংস করা হয়েছে, বিপুল অর্থ পাচার হয়েছিল; তাই আমি দুর্নীতিমুক্ত ও স্বচ্ছ একটি প্রশাসন গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। দ্বিতীয়ত, দেশের বেশিরভাগ যুবক বেকার। সেসব যুবকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। এ ছাড়া সামাজিক সুবিচার নিশ্চিত করা হবে। স্থানীয় পর্যায়ের দ্বন্দ্ব-সংঘাতের সমাধান স্থানীয়ভাবেই সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, আমরা ক্ষমতায় গেলে প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার নিশ্চিত করা হবে। অর্থনৈতিকভাবে শক্ত অবকাঠামো গড়ে তোলা হবে। হাট-বাজারসহ জনসম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠানের ইজারা সরকারিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

রাজধানীর প্রায় সব আসনে নির্বাচনি তৎপরতা চালাচ্ছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। এ প্রসঙ্গে মহানগর উত্তরের যুব বিভাগের সেক্রেটারি ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী হাসানুল বান্না চপল বলেন, আমরা দল গোছানোর পাশাপাশি নির্বাচনি প্রস্তুতিমূলক কাজও চালাচ্ছি। নির্বাচনি বুথভিত্তিক ইউনিট গঠন করে সাধারণ মানুষের কাছে দাওয়াত পৌঁছানো হচ্ছে। তিনি বলেন, গণসংযোগকালে বিগত দিনের জুলুম-নির্যাতন ও বঞ্চনার কথা তুলে মানুষের ভোটের অধিকার জাগ্রত করা হচ্ছে। ক্ষমতায় গেলে মানুষের অধিকার আদায়ে ভূমিকা রাখার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে।

আগামী দিনের প্রত্যাশা ও পরিকল্পনা সম্পর্কে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান এক ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বলেন, জামায়াত দুর্নীতিমুক্ত ও মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চাই। সেই দেশে আবালবৃদ্ধবনিতা ঘর, রাস্তা ও কর্মস্থলÑসব জায়গায় নিরাপদ থাকবে। তিনি বলেন, আমরা এমন একটি দেশ দেখতে চাই, যেখানে চোর, ডাকাত, চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ ও ঘুষখোরদের জ্বালায় মানুষ অতিষ্ঠ হবে না।