
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করাই এখন লক্ষ্য। আজ শুক্রবার (১৩ জুন) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এ কথা বলেন তিনি।
লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক জাতিকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার নতুন আশা দেখিয়েছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই অধ্যাপক ইউনূসকে, যিনি অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে এই সভার আয়োজন করে সংকটপূর্ণ এক মুহূর্তে তারেক রহমানকে আমন্ত্রণ জানান। চতুর্দিকে একটা অনিশ্চয়তা ছিল। অনেকে অনেক কথা বলেছেন বিভিন্নভাবে।’
মির্জা ফখরুল জানান, এখন সবচেয়ে প্রয়োজন জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা। তিনি বলেন, ‘অতীতের ছোটখাটো ভুলভ্রান্তি ভুলে গিয়ে আমাদের সামনে তাকাতে হবে। জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে আমাদের সমস্যাগুলো সমাধান করে দ্রুত নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময় যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সেটি যেন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়, এটাই এখন লক্ষ্য।’
দলটির মহাসচিব বলেন, ‘আজকে এই দুই নেতা প্রমাণ করলেন যে বাংলাদেশের মানুষ এখনো প্রয়োজনের সময় ঐক্যবদ্ধ হতে পারে, নেতারা নেতৃত্ব দিতে পারেন এবং সেই হিসেবেই বাংলাদেশের মানুষ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই বৈঠক নিয়ে গোটা জাতি উৎকণ্ঠা নিয়ে অপেক্ষা করছিল। আমি তো আগেই বলেছিলাম, এই বৈঠক একটি টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে। সত্যিকার অর্থেই বৈঠকটি একটি টার্নিং পয়েন্ট হয়েছে।’
বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, ‘দেশে যে ফ্যাসিস্ট কাঠামো গড়ে উঠেছে, সেটিকে ভেঙে নতুন একটি গণতান্ত্রিক কাঠামো গড়ে তোলার সময় এখন এসেছে। আমরা প্রায় ১৫ বছর পর গণতন্ত্রে উত্তরণের একটি সুযোগ পাচ্ছি এবং সেই পথেই এগিয়ে যাচ্ছি।’
আন্দোলনে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে যাঁরা জীবন দিয়েছেন, আহত হয়েছেন, তাঁদের আত্মত্যাগ গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথ সুগম করেছে। তাঁরা জীবন দিয়ে প্রমাণ করেছেন, দেশের জনগণ ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়তে জানে।’
বৈঠক শেষে তারেক রহমানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয়েছে জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তিনি (তারেক রহমান) আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রামরত সব জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।’
ফখরুল বলেন, ‘আজকের মিটিং প্রমাণ করেছে, বাংলাদেশের মানুষ চাইলে ঐক্যবদ্ধ হতে পারে। এই ঐক্যই আমাদের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের ভিত্তি হয়ে উঠবে।’