Image description

২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার ১০ মাস পূর্ণ হলেও তাকে কখনো মিডিয়ার সামনে কথা বলতে দেখা যায়নি। তার অনেক কল রেকর্ড প্রকাশ্যে আসলেও কখনো তিনি সরাসরি বক্তব্য সামনে আসেননি। তবে, সম্প্রতি হাসিনার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। যাতে দেখা যায়, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে প্রকাশ্যে বক্তব্য দিচ্ছেন ফ্যাসিস্ট হাসিনা। এসময় তাকে ড. ইউনূসকে নিয়ে বাজে মন্তব্যও করতে দেখা যায়।

 

ভিডিওটি ‘ভারতে প্রকাশ্যে শেখ হাসিনার মুখে ড. ইউনূস! দিল্লির মঞ্চে কী বললেন!’ শীর্ষক দাবিতে ইন্টারনেটে ব্যাপক ভাইরাল হয়। যা নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা। এদিকে হাসিনার দেওয়া প্রকাশ্যে সেই বক্তব্যের সত্যতা যাচাই করতে নামে আন্তর্জাতিক ফ্যাক্ট চেকিং নেটওয়ার্ক রিউমর স্ক্যানার।

 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ভারতে প্রকাশ্যে এসে শেখ হাসিনার বক্তব্য দেওয়ার দৃশ্য দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি আসল নয় বরং, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় শেখ হাসিনার বক্তব্যের একটি পুরোনো ভিডিওর সাথে তার সাম্প্রতিক সময়ে দেওয়া একটি বক্তব্যের অডিও যুক্ত করে আলোচিত ভিডিওটি তৈরি করে প্রচার করা হচ্ছে।

 

সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, শুরুতে উপস্থাপিকা বলছেন ‘ভারতে প্রকাশ্যে শেখ হাসিনা। সরাসরি বক্তব্যে ড. ইউনূসকে নিয়ে সমালোচনা। কী বললেন তিনি!’ এরপর আসে ফ্যাসিস্ট হাসিনার দৃশ্যের পালা। তাকে বলতে শোনা যায়, ‘আওয়ামী লীগ নাকি তারা রাখবে না। আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে দিবে। ওরা কী ভেবেছে, আওয়ামী লীগ কি ভেসে এসেছে? না কারো পকেট থেকে বের হয়েছে? ’

 

এরপর হাসিনা অন্তর্বর্তী সরাকারের প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ড. ইউনূস ক্ষমতা দখল করেছে একেবারে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে। মানুষ হত্যা করে, মানুষের লাশের ওপর পাড়া দিয়ে।’ হাসিনার বক্তব্যের এই অংশটি শুনে বাংলাদেশের আমজনতা রীতিমতো ক্ষেপে যায়। হাসিনাকে তারা মনে করিয়ে ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে তার দেড় হাজার মানুষ হত্যার কথা। এর পাশাপাশি অনেকেই তার বিগত ১৬ বছরের শাসনামলের কথাও তুলে ধরেন নেটদুনিয়ায়।

 

এদিকে রিউমর স্ক্যানার টিম অনুসন্ধানে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম, এমনকি বিশ্বস্ত সূত্রে হাসিনার প্রকাশ্যে বক্তব্য দেওয়ার তথ্য পায়নি। পরবর্তীতে আলোচিত ভিডিওটির বিষয়ে অনুসন্ধানে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে দেশ টিভির ইউটিউব চ্যানেলে গত বছরের ২৫ জুলাই প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া পায় তারা। উক্ত ভিডিওতে থাকা শেখ হাসিনার পোশাক এবং সামনে থাকা মাইক্রোফোনের সাথে আলোচিত ভিডিওর পুরোপুরি মিল রয়েছে।