
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে চাঁদা না দেওয়ায় রিয়াজ উদ্দিন (৩২) নামে এক ইরাক প্রবাসীকে প্রকাশ্যে মারধরের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা ছাত্রদলের এক নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত জামাল উদ্দিন (৩১) সুবর্ণচর উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি পদপ্রার্থী এবং চরবাটা ইউনিয়নের পশ্চিম চরবাটা গ্রামের মৃত বজলুর রহমানের ছেলে।
বুধবার (৫ জুন) রাতে ভুঁইয়ার হাট বাজারে ‘রাইট চয়েস’ নামক একটি গার্মেন্টস দোকানের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী রিয়াজ উদ্দিন চরবাটা ইউনিয়নের চরমজিদ গ্রামের মিরাজ ব্যাপারীর ছেলে। তিনি দীর্ঘ আট বছর ইরাকে অবস্থান করে সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন।
রিয়াজ অভিযোগ করেন, “দেশে ফেরার পর জামাল উদ্দিন আমার কাছে চাঁদা দাবি করে। চাহিত চাঁদা না দেওয়ায় সে তার অনুসারীদের নিয়ে আমাকে প্রকাশ্যে মারধর করে। আমি ইরাকে বৈধ পথে ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকা দেশে পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় আমি প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার দাবি করছি।”
প্রত্যক্ষদর্শীরাও ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, “প্রবাসী রিয়াজকে রাতের বেলায় দোকানের সামনে ডেকে এনে হঠাৎ করে মারধর শুরু করেন জামাল উদ্দিন। একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধার সঙ্গে এমন আচরণ কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”
তারা আরও আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, “বিএনপি এখনই যদি এমন আচরণ করে, ভবিষ্যতে ক্ষমতায় গেলে পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ হতে পারে তা ভেবে শঙ্কা হয়।”
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রদল নেতা জামাল উদ্দিন বলেন, “রিয়াজ আওয়ামী লীগ নেতা ও চরবাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম রাজীবের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। তার সঙ্গে কোনো বিরোধ নেই। চাঁদা দাবি বা হামলার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”