Image description

এবারের বাজেটেও শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেনি, শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে ঘোষিত বাজেটের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

মঙ্গলবার (৩ জুন) ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম এক যৌথ বিবৃতিতে এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, “গত সোমবার (২ জুন ২০২৫) রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ হাজার কোটি টাকার একটি প্রস্তাবিত বাজেট জাতির সামনে উপস্থাপন করেন। শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানের পর প্রত্যাশা ছিল, এবারের বাজেটে শিক্ষা খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। কিন্তু সেই প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেনি। ‘ঋণ করে ঋণ শোধ’ করার যে নীতি বিগত সরকারের মেয়াদে গড়ে উঠেছিল, অন্তর্বর্তী সরকারের বাজেটেও তা অব্যাহত রাখা হয়েছে। এ মুহূর্তে সরকারের ঘাড়ে চাপা ঋণের পরিমাণ প্রায় ২০ লাখ কোটি টাকা।”

নেতৃবৃন্দ বলেন, “গত বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা কম হলেও সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ৪৬ হাজার কোটি টাকা বেশি। এ বিরাট অঙ্কের বাজেটের মধ্যে ২ লক্ষ ২৬ হাজার কোটি টাকাই ঘাটতি থাকবে। যার ফলে তারল্য সংকটে থাকা দেশের ব্যাংকিং খাতের ওপর অনেক বেশি প্রভাব পড়বে। বিনিয়োগকারীর পরিমাণ কমবে আর বিদেশি ঋণের বোঝা আরও বেশি বর্ধিত হবে। এদিকে আয়ের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, তার প্রায় পুরোটাই টালমাটাল রাজস্ব বিভাগের ওপর নির্ভরশীল। ফলে রাজস্ব আদায় চ্যালেঞ্জিং হবে বলে আমরা মনে করছি।

বাজেটে দ্রব্যমূল্যের দাম কমানোর প্রতিশ্রুতি থাকলেও নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের (৬ লাখ থেকে ১৬ লাখ টাকা বার্ষিক আয়) ওপর করের বড় চাপ আরোপ করা হয়েছে, কিন্তু ধনীদের (৩০ লাখ টাকার ওপর আয়ের) কর অপেক্ষাকৃত কম রাখা হয়েছে, যা সুস্পষ্ট বৈষম্য। বাজেটে ৬.৫% মূল্যস্ফীতি সীমিত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, বিষয়টি প্রশংসনীয় হলেও কোন পদ্ধতিতে তা কমানো হবে তা সুস্পষ্ট নয়। বাজেটে জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা প্রদান, সামাজিক সুরক্ষা বৃদ্ধি এবং আর্থিক সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য যে বরাদ্দ রাখা হয়েছে, তা প্রশংসার দাবি রাখে। তবে তা আরো বরাদ্দের দাবি রাখে।

আবাসন খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিচ্ছে সরকার, যা অর্থনীতিতে কিছু তাৎক্ষণিক উপকার বয়ে আনলেও, দীর্ঘ মেয়াদে এই নীতির কার্যকারিতা প্রায় নেই বললেই চলে। এতে কর ফাঁকিদাতারা আরও উৎসাহিত হবে। এই পদ্ধতি নিয়মিত করদাতাদের প্রতি স্পষ্ট অবিচার, যা তাদের হতাশ করবে এবং ভবিষ্যতে কর ফাঁকির প্রবণতাও বাড়িয়ে দেবে। নীতিগতভাবে এটা গ্রহণযোগ্য নয়।”

নেতৃবৃন্দ আরও উল্লেখ করেন, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটটি শিক্ষাবান্ধব নয়; বরং এটি একটি গতানুগতিক বাজেট হিসেবে আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। বাজেটে যদিও শিক্ষা খাতের নির্দিষ্ট কিছু উপখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে সামগ্রিকভাবে জিডিপির অনুপাতে শিক্ষাখাতে মোট বরাদ্দের পরিমাণ আরও কমে গেছে।

প্রস্তাবিত বাজেটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩৫ হাজার ৪০৩ কোটি টাকা, যা গত বছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় কম। গত অর্থবছরে এ খাতে প্রস্তাবিত বরাদ্দ ছিল ৩৮ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা। অপরদিকে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে বরাদ্দ কিছুটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭ হাজার ৫৬৪ কোটি টাকায় এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগে বরাদ্দ হয়েছে মাত্র ১২ হাজার ৬৭৮ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে এ খাত দুটোর বরাদ্দ দাঁড়িয়েছিল যথাক্রমে ৩৯ হাজার ২৩৩ ও ৯ হাজার ৯৫৩ কোটি টাকা। এসব খাতভিত্তিক সংখ্যাগত কিছু বাড়তি বরাদ্দ সত্ত্বেও জিডিপির অনুপাতে সামগ্রিক শিক্ষা বরাদ্দ ২০২৫-২৬ অর্থবছরে কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১.৫৩ শতাংশে, যা আগের বছরের ১.৬৯ শতাংশ থেকেও কম। ফলে বাস্তবতা হলো—শিক্ষাখাতে বরাদ্দের হার ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে, যা ইউনেস্কোর সুপারিশকৃত ৬ শতাংশের ধারেকাছেও না। বিভিন্ন মহল হতে শিক্ষাখাতে বরাদ্দের পরিমাণ বৃদ্ধির জোর দাবি থাকলেও তা সরকার তা আমলে নেয়নি।

নেতৃবৃন্দ বলেন, “আমরা মনে করি, একটি দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে প্রধান শর্তই হলো জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তর করা। এর জন্য প্রয়োজন শিক্ষা ও গবেষণায় উন্নত হওয়া; কিন্তু আমাদের বাজেটে বেশি বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে ভৌত কাঠামোগত উন্নয়নে। কাঠামো খাতে বাজেট বরাদ্দ গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু তার পরিমাণ যে হারে বাড়ানো হচ্ছে, সেটি বিচক্ষণ নীতিগত সিদ্ধান্ত নয়। এ খাতে বাজেট যতটা বরাদ্দ হয়, তাতে দক্ষতা ও সুশাসনের অভাবে কাঙ্ক্ষিত সুফল আসছে না। অতএব, কাঙ্ক্ষিত, টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী সুফল পেতে হলে শিক্ষা খাতে বাজেট বাড়ানো উচিত।

উন্নতমানের শিক্ষা নিশ্চিত করতে হলে প্রথমত মেধাবী ও দক্ষ শিক্ষকের উপস্থিতি অপরিহার্য। তাই এটি নিশ্চিত করা জরুরি যে, এই খাতে যাতে সত্যিকার মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশায় আগ্রহী হন এবং তারা ৩-৪ বছরের মধ্যে আরও ভালো সুযোগের সন্ধানে অন্যান্য পেশায় চলে না যান। এজন্য উপযুক্ত সম্মানজনক কর্মপরিবেশ, আর্থিক প্রণোদনা ও পেশাগত বিকাশের যথাযথ সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।

কয়েকটি প্রতিবেশী দেশের দিকে চোখ তুলেই আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার দৈন্যদশা স্পষ্টভাবে ধরা পড়ে। মালয়েশিয়া তার মোট বাজেটের প্রায় ২০ শতাংশ এবং জিডিপির ৩.৬৩ শতাংশ ব্যয় করে শিক্ষাখাতে। নেপাল শিক্ষাখাতে মোট বাজেটের প্রায় ২১.৮৮ শতাংশ এবং জিডিপির ৩.৬৮ শতাংশ ব্যয় করে। ভুটান শিক্ষাখাতে বরাদ্দ রাখে তাদের মোট বাজেটের ২৭.১৯ শতাংশ এবং জিডিপির ৫.৮৫ শতাংশ। এমনকি ভারতও জিডিপির ৪.১ থেকে ৪.৬ শতাংশ পর্যন্ত ব্যয় করে শিক্ষাখাতে। অথচ বাংলাদেশে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ এখনো ইউনেস্কোর সুপারিশ (জিডিপির ৬% বা বাজেটের ২০%) থেকে অনেক দূরে।”

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, “১৯৭২ সালে স্বাধীনতার ১ বছরের মাথায় যেখানে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ ছিল জিডিপির ৪ শতাংশ, যা ছিল মোট বাজেটের ২২ শতাংশ, সেই জায়গা থেকে প্রতিনিয়ত বিশ্বব্যাপী শিক্ষার গুরুত্ব বাড়লেও আমাদের বরাদ্দ কমে আসছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোর বাজেটের দিকে খেয়াল করলে দেখা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ ছিল মাত্র জিডিপির ২.৬১ শতাংশ। ২০১৯-২০ সালে তা সামান্য বেড়ে দাঁড়ায় ২.৭৫ শতাংশে, তবে পরবর্তী বছরগুলোতে এই হার ধারাবাহিকভাবে হ্রাস পায়—২০২০-২১ অর্থবছরে ২.০৯ শতাংশ, ২০২১-২২ সালে ২.০৮ শতাংশ, ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা এক লাফে কমে দাঁড়ায় ১.৮৩ শতাংশে এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তা আরও কমে ১.৬৯ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়।

শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানের পর আশা ছিল, এবারের বাজেটে শিক্ষা খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। কিন্তু সেই প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেনি। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ আরও কমিয়ে জিডিপির মাত্র ১.৫৩ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। যেখানে ইউনেস্কো জিডিপির অন্তত ৬ শতাংশ শিক্ষাখাতে বরাদ্দের সুপারিশ করে, সেখানে বাংলাদেশে তা ক্রমাগত কমছে।”

নেতৃবৃন্দ বলেন, “শিক্ষাখাতে মূলত তিনটি স্টেকহোল্ডার রয়েছে—শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠান প্রশাসন। এই তিন অংশীজনের ব্যাপারটি মাথায় রেখে বাজেটে বরাদ্দের ব্যাপারটি নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া শিক্ষাখাতে যে-সব উন্নয়নমূলক কর্মসূচি ইতঃপূর্বে হাতে নেওয়া হয়েছে, সেগুলো সফল করতে ভালো অঙ্কের বরাদ্দের প্রয়োজন। এ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো র‍্যাংকিংয়ে পিছিয়ে থাকার একটি বড় কারণ যথোপযুক্ত গবেষণা না হওয়া। কাজেই গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। তা নাহলে বিষয়টি না প্রসারিত হচ্ছে, না বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সেখানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিতে পারছে।

গ্লোবাল এডুকেশন মনিটরিং রিপোর্ট ২০২২ অনুযায়ী, বাংলাদেশে মাধ্যমিক স্তরের ৯৪ শতাংশ শিক্ষার্থী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পড়ে এবং দেশের মোট শিক্ষা ব্যয়ের ৭১ শতাংশই বহন করে পরিবার। এনজিও স্কুলের ফি সরকারি তুলনায় প্রায় তিনগুণ এবং বেসরকারি কিন্ডারগার্টেনের ফি নয়গুণ বেশি, যা শিক্ষা খাতে রাষ্ট্রীয় দায় কমে যাওয়ার দিকেই ইঙ্গিত করে।

উন্নত বিশ্বের দিকে তাকালে সহজেই অনুমেয়, শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান আমাদের জাতীয় উন্নয়নের জন্য কতটুকু প্রয়োজন। যে দেশ শিক্ষাক্ষেত্রে যত বেশি উন্নতি সাধন করতে পেরেছে, সে দেশ তত বেশি দক্ষ জনসম্পদ তৈরি করতে পেরেছে। এদিকে বাংলাদেশ সরকারের গাফিলতি লক্ষণীয়। এর বাইরে দেশে শিক্ষাক্ষেত্রে প্রযুক্তির সীমাবদ্ধতা বিশেষভাবে লক্ষণীয়। শিক্ষক শিক্ষার্থীর অনুপাতের আদর্শ অনুপাত যেখানে ১:১২/১৩, সেখানে আমাদের দেশে তা ১:৩৫! এক্ষেত্রে নতুন যোগ্য, দক্ষ শিক্ষক নিয়োগের ব্যাপারে চিন্তা করা বাঞ্ছনীয়। পাশাপাশি, প্রতিবছর বিশালসংখ্যক শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা যে বাড়ছে, এই প্রবণতা নিচের দিকে ধাবিত করার পরিকল্পনাও অতি সত্বর নিতে হবে।”

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, “আরেকটি ব্যাপার লক্ষণীয়, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষাখাতে মোট বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে মাত্র ৯৫,৬৪৫ কোটি টাকা। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে বরাদ্দ সামান্য বৃদ্ধি পেলেও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ ৩৫,৪০৩ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরের মূল বরাদ্দ ৩৮,৮১৯ কোটি টাকার তুলনায় প্রায় ৩,৪১৬ কোটি টাকা কম।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থায় প্রায় ১১ শতাংশ শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। এ ছাড়া, কওমি মাদ্রাসায় প্রায় ২০ লাখ শিক্ষার্থী রয়েছে, যাদের অধিকাংশই বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়াশোনা করে। এই পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট, প্রাথমিক শিক্ষার ভিত্তি মজবুত করার পরিবর্তে দুর্বল করা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষায় বরাদ্দ হ্রাসের ফলে শিক্ষার ভিত্তি দুর্বল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই শিক্ষাখাতে সমতাভিত্তিক বরাদ্দ নিশ্চিত করা জরুরি।”

নেতৃবৃন্দ বলেন, “উন্নত বিশ্বে শিক্ষাক্ষেত্রের পাশাপাশি ‘গবেষণা ও উন্নয়ন’ খাতে আলাদাভাবে অন্যতম গুরুত্ব প্রদান করা হয়ে থাকে। যে জাতি তার গবেষণা খাতে যত উন্নতি সাধন করতে পেরেছে, সে জাতি তত উন্নতি করতে পেরেছে। জাপান, চীন, যুক্তরাষ্ট্র কিংবা দক্ষিণ কোরিয়ার দিকে তাকালে এ সত্য সহজেই উপলব্ধি করা সম্ভব। বর্তমানে পৃথিবীব্যাপী ১২৫টি দেশের গবেষণা ও উন্নয়ন নামে আলাদা খাত আছে। সে তালিকায় প্রতিবেশী নেপাল থাকলেও বাংলাদেশের আদৌ সে সৌভাগ্য হয়ে ওঠেনি। আসন্ন জাতীয় বাজেটে উক্ত বিষয়গুলো আমলে নেওয়া এখন সময়ের দাবি। অন্যথায় জাতীয় সংকট নিরসন করে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর পথে শেষ পেরেকটাও ঠুকে দেওয়া হবে।

সর্বোপরি দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য সরকারের প্রতি আমাদের দাবি হচ্ছে, শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, ক্ষুদ্র বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য বিশেষ প্রণোদনা ও স্বচ্ছ ব্যবসায়িক পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে, ঋণ খেলাপিদের ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপের ঘোষণা দিতে হবে, জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ওপর সরকারি ভর্তুকি বাড়াতে হবে।”