
টুডে রিপোর্ট
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের গোয়েন্দাদের জব্দ করা বিভিন্ন তথ্য প্রমাণ দিয়ে বর্তমান রাজনীতিবিদদের মানহানি করার অভিযোগ উঠেছে বর্তমান সরকারের গোয়েন্দাদের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি পিনাকী ভট্টাচার্যের একটি ভিডিও নিয়ে এমন ঘটনার জন্ম নেয়। সমালোচকরা বলছেন, যেখানে বর্তমানে ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করার কথা সেখানে একটি বিশেষ গোষ্ঠী এসব তথ্য হীণ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছেন।
সম্প্রতি আলোচিত রাজনৈতিক একটিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্যের ফ্যাসিস্ট আওয়ামী আমলে দেশত্যাগের একটি ভিডিও ফেসবুকে প্রকাশ করেন প্রবাসী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের। এই ভিডিওটি এবি পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবর রহমান মঞ্জুর ধারণ করা বলেও জানান সায়ের। ভিডিওতে নূরুল ইসলাম ভূঁইয়া ছোটন এবং মোস্তাইন জহিরকে পিনাকীর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়ে প্রবাসী এই সংবাদিক লিখেন, ‘ছোটন এবং মোস্তাইন জহির কে, তাদের অশুভ চক্র বাংলাদেশকে নিয়ে কি করছে, সেটা আমি বেশ আগেই আপনাদের জানিয়েছি।’
তারপর থেকেই এই ভিডিওকে পুজি করে পিনাকীর সমালোচনায় মেতে উঠেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, আলোচিত এই ভিডিওটি মূলত সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে জুলকারনাইন সায়েরের কাছে গিয়েছে। তবে কখন কীভাবে এই ভিডিও গোয়েন্দাদের কাছে গেল আর সেখান থেকে সায়েরের কাছে গেল তা অনেকটা অস্পষ্ট ছিল। মূলত ইউনূস সরকারের বিভিন্ন ব্যক্তিদের বিতর্কিত করার উদ্দেশে এই ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে বলে মনে করেন অনেকে।
এরপরই ভিডিওধারণকারী মুজিবর রহমান মঞ্জু সায়েরকে উদ্দেশ্যে করে দেওয়া এক পোস্টে বিষয়টি খোলাসা করেন।
মঞ্জু তার পোস্টে লিখেন, বিপদে পড়ে পিনাকী ভট্টাচার্যের দেশ ত্যাগ তথা ইমিগ্রেশন পার হওয়ার যে ভিডিও আপনি কয়েকদিন আগে শেয়ার করেছেন সেটা আমার নিজের করা ভিডিও। রিমান্ডের সময় আমার ফোন থেকে যখন সেই ভিডিও গোয়েন্দারা ট্রান্সফার করছিল তখন খুব চোখ বড় বড় করে বার বার তাকাচ্ছিল। যেন আমি ভয়ংকর গুরুত্বপূর্ণ একটা লোক এবং বিরাট একটা অপকর্মের প্রমাণ তারা পেয়ে গেছে। গোয়েন্দাদের আশ্বস্ত করে বলেছিলাম এটা আমার নিজের করা ভিডিও। তথ্যটা গোয়েন্দাদের মারফত আপনি জেনেছেন দেখে খুশী হলাম এবং আমাকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন সেজন্য অশেষ ধন্যবাদ। আমি নতুন দলের উদ্যোগ নেয়ার পর আমার বন্ধুদের বড় একটা অংশ আমাকে ত্যাগ করেছেন। অনেকে প্রকাশ্যে ফেসবুকে নিন্দা-মন্দও করেছেন; ফরহাদ মজহার, পিনাকী ভট্টাচার্যসহ এরকম আরও অনেকে সেটা করেছেন। নানা কারণে মানুষের বন্ধুত্ব নষ্ট হতে পারে কিন্তু সেজন্য একে অপরের চরিত্র হনন করা এক ধরনের অসাধুতা। আপনারা সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সাররা এটা অহরহ করেন। কাজটা ভালো না।