
হেলিকপ্টার, ড্রোন ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে নির্মূলের নির্দেশ দিয়েছেন ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা। তার নির্দেশ বাস্তবায়নে পুলিশ, র্যাবসহ অধীনস্থ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা হত্যা, সশস্ত্র আওয়ামী সন্ত্রাসী কর্তৃক ব্যাপক মাত্রায় ও পদ্ধতিগতভাবে নিরীহ নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর আক্রমণে অংশ হিসেবে হত্যা, হত্যার চেষ্টা, নির্যাতন এবং অন্যান্য অমানবিক আচরণ করেছেন। অপরাধ সংঘটন প্ররোচনা, উসকানি, সহায়তা, সম্পৃক্ততা, অপরাধ সংঘটন করেছেন। জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছেন। এমন পাঁচ ধরনের অপরাধের অভিযোগে ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা, তার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হয়েছে।
গতকাল রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো: গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হয় এসব অভিযোগ। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল সংক্রান্ত শুনানি এই প্রথমবারের মতো টেলিভিশনসহ সকল ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় লাইভ সম্প্রচারিত হয়েছে। যা দেশ-বিদেশে, দূর-দূরান্তের মানুষ সরাসরি প্রত্যক্ষ করেছেন। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানকালে হাসিনা এবং তার সহযোগীদের বর্বর হত্যাকা-ের রোমহর্ষক বর্ণনা শুনেছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের উপস্থাপনা থেকে।
উপস্থাপিত পাঁচ অভিযোগ
(১) ২০২৪ সালের ১৪ জুলাই গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আসামি শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান এবং এর প্রেক্ষিতে আসামি আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ তৎকালীন সরকারের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্ররোচনা, সহায়তা ও সম্পৃৃক্ততায় তাদের অধীনস্থ ও নিয়ন্ত্রণাধীন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্য ও সশস্ত্র আওয়ামী সন্ত্রাসী কর্তৃক ব্যাপক মাত্রায় ও পদ্ধতিগতভাবে নিরীহ নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর আক্রমণে অংশ হিসেবে হত্যা, হত্যার চেষ্টা, নির্যাতন এবং অন্যান্য অমানবিক আচরণ করার অপরাধগুলো সংঘটনের প্ররোচনা, উসকানি, সহায়তা, সম্পৃক্ততা, অপরাধ সংঘটন প্রতিরোধে ব্যর্থতা, অপরাধ সংঘটনের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তিÍ প্রদান না করা এবং ষড়যন্ত্র করার অপরাধ।
(২) আসামি শেখ হাসিনা কর্তৃক ছাত্র-জনতার ওপর হেলিকপ্টার, ড্রোন ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের হত্যা করে নির্মূলের নির্দেশ এবং তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন কর্তৃক আসামি শেখ হাসিনার ওই নির্দেশ বাস্তবায়নে তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন এবং অধীনস্থ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নির্দেশনা দিয়ে কার্যকর করার মাধ্যমে অপরাধ সংঘটনের নির্দেশ প্রদান, সহায়তা, সম্পৃক্ততা এবং ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন করেছে। যা তাদের জ্ঞাতসারে কার্যকর করা হয়েছে।
(৩) শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্য এবং মারণাস্ত্র ব্যবহার করে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতাকে হত্যার নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ তৎকালীন সরকারের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্ররোচনা, সহায়তা ও সম্পৃক্ততায় তাদের অধীনস্থ ও নিয়ন্ত্রণাধীন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্য ও সশস্ত্র আওয়ামী সন্ত্রাসী কর্তৃক ব্যাপক মাত্রায় ও পদ্ধতিগতভাবে নিরীহ নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর আক্রমণের অংশ হিসেবে ১৬ জুলাই রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে স্বল্প দূরত্ব থেকে সরাসরি নিরীহ নিরস্ত্র আন্দোলনকারী ছাত্র আবু সাঈদের বুক লক্ষ্য করে বিনা উসকানিতে একাধিক গুলি চালিয়ে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করার মাধ্যমে উল্লিখিত আসামিদের জ্ঞাতসারে এবং তাদের কর্তৃক অপরাধ সংঘটনের নির্দেশ, প্ররোচনা, উসকানি, সহায়তা, সম্পৃক্ততা এবং ষড়যন্ত্রসহ অন্যান্য অমানবিক আচরণ করার মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন।
(৪) শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্য এবং মারণাস্ত্র ব্যবহার করে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতাকে হত্যার নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ তৎকালীন সরকারের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্ররোচনা, সহায়তা ও সম্পৃক্ততায় তাদের অধীনস্থ ও নিয়ন্ত্রণাধীন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও সশস্ত্র আওয়ামী সন্ত্রাসী কর্তৃক ব্যাপক মাত্রায় ও পদ্ধতিগতভাবে নিরীহ নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর আক্রমণের অংশ হিসেবে ৫ আগস্ট ২০২৪ ঢাকা মহানগরীর চাঁনখারপুল এলাকায় আন্দোলনরত নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর তৎকালীন সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কর্তৃক নিরীহ নিরস্ত্র ছয়জন ছাত্র-জনতাকে গুলি করে হত্যা করার মাধ্যমে উল্লিখিত আসামিদের জ্ঞাতসারে এবং তাদের কর্তৃক হত্যার নির্দেশ, প্ররোচনা, উসকানি, সহায়তা, সম্পৃক্ততা এবং ষড়যন্ত্র করার মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।
(৫) শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্য এবং মারণাস্ত্র ব্যবহার করে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতাকে হত্যার নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে আসামি আসাদুজ্জামান খান কামাল ও আসামি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ তৎকালীন সরকারের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্ররোচনা, সহায়তা ও সম্পৃক্ততায় তাদের অধীনস্থ ও নিয়ন্ত্রণাধীন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও সশস্ত্র আওয়ামী সন্ত্রাসী কর্তৃক ব্যাপক মাত্রায় ও পদ্ধতিগতভাবে নিরীহ নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর আক্রমণের অংশ হিসেবে ৫ আগস্ট ২০২৪ ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার সামনে এবং আশপাশ এলাকায় আন্দোলনরত নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর তৎকালীন সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কর্তৃক নিরীহ নিরস্ত্র ছয় ছাত্র-জনতাকে গুলি করে তাদের মধ্যে পাঁচজনের লাশ এবং একজনকে জীবিত ও গুরুতর আহত অবস্থায় আগুনে পুড়িয়ে দেয়ার অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। এ ধরনের হত্যার নির্দেশ, প্ররোচনা, উসকানি, সহায়তা, সম্পৃক্ততা এবং ষড়যন্ত্রসহ অন্যান্য অমানবিক আচরণ করার মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।
অপরাধ বিচারার্থে গৃহীত
আনুষ্ঠানিক উত্থাপনের পর শেখ হাসিনাসহ তিনজনের অপরাধ আমলে নিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। জুলাই-আগস্টে গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ আমলে নিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। মামলার অপর দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। একই সঙ্গে এই মামলায় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের বিরুদ্ধে নতুন করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। অপর আসামি চৌধুরী আব্দুুল্লাহ আল-মামুনকে এই মামলায় ‘শ্যোন অ্যারেস্ট’ করা হয়েছে। মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে আগামী ১৬ জুন।
প্রশংসনীয় লাইভ সম্প্রচার
বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো বিচার প্রক্রিয়ায় সরাসরি টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়েছে। দেশ কিংবা বিদেশে, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এ বিচার শুরুর প্রক্রিয়া প্রত্যক্ষ করেছেন। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষও বাদ যায়নি রাজধানীর সুরক্ষিত ট্রাইব্যুনালের অভ্যন্তরে চলমান বিচার প্রক্রিয়া প্রত্যক্ষ করা থেকে। এটি দেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে এক মাইলফলক। ট্রাইব্যুনাল তথা অন্তর্বর্তী সরকারের এ উদ্যোগকে অত্যন্ত সাহসী বলে বর্ণনা করেছেন বিচার বিভাগ সংশ্লিষ্ট মানুষ। স্বচ্ছতার প্রশ্নেও এ বিচার প্রক্রিয়া রেখেছে এক অনন্য নজির। বিচার মানেই ছিল আইন জানা এক শ্রেণির অগ্রসর ও শিক্ষিত মানুষের বিষয়-আশয়। কিন্তু শেখ হাসিনার বিচার সরাসরি সম্প্রচার হওয়ায় অনগ্রসর জনগোষ্ঠীরও সুযোগ হয়েছে বিচার প্রত্যক্ষ করার। শুধু তাই নয়, লাইভ সম্প্রচারকালে সরকারের এ প্রশংসনীয় উদ্যোগের তারিফ যেমন করেছেন ফ্যাসিবাদবিরোধী দেশপ্রেমিক কোটি কোটি মানুষ। তেমনি শেখ হাসিনার বর্বরতার যারা অন্ধ সমর্থক, তারাও সুযোগ পেয়েছেন বিচার নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করার। দেশের টিভি চ্যানেল, ইউটিউব চ্যানেল এবং বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্প্রচারকালে প্রশংসার পাশাপাশি কিছু মানুষের কটূক্তিও প্রত্যক্ষ করা যায়। তা বিচারিক নিরপেক্ষতারই নির্দেশক।
ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এ সময় প্রসিকিউটর আব্দুস সোবহান তরফদার, মিজানুল ইসলাম। এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের কোনো বিচার প্রক্রিয়া সরাসরি গণমাধ্যমে সম্প্রচার করা হয়েছে। গতকাল জুলাই-আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে উৎখাত হওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়। এর আগে তদন্ত সংস্থা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সাড়ে আট হাজার পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র ট্রাইব্যুনালে জমা দেয়া হয়। এতে শেখ হাসিনা ও অপর দুই আসামির বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়।
গতকাল (১জুন) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা অভিযোগ আমলে নিয়ে শেখ হাসিনা এবং আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে পুনরায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। তিন আসামির মধ্যে চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন গ্রেফতার রয়েছেন।
এর আগে গত ১২ মে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা। তদন্ত প্রতিবেদনে জুলাই গণহত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে শেখ হাসিনার নাম উঠে আসে।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। প্রসিকিউশনের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত চিফ প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম।
গত বছর ১৭ ডিসেম্বর দুই মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত দুই মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর গুলি, হত্যার নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার চলছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঠেকাতে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বিচারে হত্যা চালায়। প্রায় দেড় হাজার মানুষ প্রাণ হারায় এ আন্দোলনে।
ট্রাইব্যুনালে কাছে বিস্ফোরণ
শেখ হাসিনা এবং তার দুই দোসরের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ উত্থাপন উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্ট সংলগ্ন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নেয়া হয় কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তা সত্ত্বেও ফটকের সামনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশ শিশু একাডেমি লাগোয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ফটকের সামনে ককটেল সদৃশ পটকা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল ভোর ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। আইনগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। ঘটনা সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সবাই অবহিত আছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা) কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা যায়নি। সিসিটিভি ফুটেজ দেখাসহ অন্যান্য কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান ওসি।