
জামায়াতে ইসলামী ফ্যাসিবাদের প্রথম ভিকটিম ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সংগঠক সাদিক কায়েম।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ কথিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মিথ্যা মামলায় একের পর এক জামায়াতসহ বিরোধী দলীয় নেতাদের বিচারিক হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এখানেই ক্ষান্ত হয়নি, ফরমায়েশি রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় জনগণের ওপর গুলি চালিয়ে শত শত মানুষ হত্যা করেছে পতিত ফ্যাসিবাদ।
জামায়াতের বাতিল হওয়া নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়ার আপিল বিভাগের রায়ের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে রোববার সকালে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা বলে এ শিবির নেতা।
ওই পোস্টে সাদিক কায়েম বলেন, সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পুরুষদের আটক, ক্রসফায়ার, গুম করেই ক্ষান্ত হয়নি, বাড়ির পর্দানশিন মুসলিমা নারীদের ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানি করেছে।
তিনি বলেন, এরপরে, ইসলামী আদর্শকে জুলুম ও নির্যাতনের মাধ্যমে ধ্বংস করতে ব্যর্থ হয়ে তারা বেছে নেয়, নিবন্ধন বাতিল এবং নিষিদ্ধের পথ। এক দশক আগে স্বৈরাচারের ভীত স্থাপন করতে নিবন্ধন বাতিল করা হয়, আর জুলাই বিপ্লবকালীন সময়ে করা হয় নিষিদ্ধ।
জুলাই আন্দোলনের এ সংগঠক আরও বলেন, জামায়াত আজ নিবন্ধন ফিরে পেল। ক’দিন আগেই মুক্ত হলেন এটিএম আজহারুল ইসলাম, যার বিরুদ্ধে কথিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ফাঁসির রায় দেওয়া হয়েছিল। এসব কিছু এই দলটির প্রতি আল্লাহর দয়া ও করুণার স্মারক। আশা করি, জামায়াতে ইসলামী এটা উপলব্ধি করে সামনে এগিয়ে যাবে, বেগবান করবে ইকামতে দ্বীনের আন্দোলন।