
সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের কমিটিতে সভাপতি হিসেবে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শাহ মো. আরাফাত হোসেনের নাম আলোচনায় রয়েছে—এমন গুঞ্জনে তোলপাড় চলছে সংগঠনের অভ্যন্তরে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ছাত্রদলের একাধিক নেতাকর্মী।
সূত্রে জানা যায়, শাহ মো. আরাফাত হোসেন পূর্বে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের মিঠুন ব্যানার্জি ও আবু তাহের রাজ নেতৃত্বাধীন কমিটিতে সহ-সভাপতি (২য়) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। হঠাৎ করে তার ছাত্রদলের কমিটিতে সভাপতি হিসেবে আসার খবর ছড়িয়ে পড়ায় প্রশ্ন উঠেছে—একজন আদর্শিক প্রতিপক্ষ সংগঠনের সাবেক নেতাকে ছাত্রদলের নেতৃত্বে বসানো কতটা যৌক্তিক?
এ বিষয়ে ছাত্রদলের একাধিক নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যারা দুঃসময়ে রাজপথে থেকে মামলা-হামলা মাথায় নিয়ে দলের পতাকা ধরে রেখেছে, তাদের বাদ দিয়ে ছাত্রলীগ থেকে আসা ব্যক্তিকে নেতৃত্বে আনার অর্থ হচ্ছে দলের আদর্শে আঘাত হানা।
আরেকজন বলেন, ছাত্রদল কি এখন ছাত্রলীগ নেতাদের পুনর্বাসনের কেন্দ্র হয়ে গেছে? দলের প্রতি দীর্ঘদিনের ত্যাগ-তিতিক্ষা তাহলে কোথায় গেল?
তারা দাবি করেন, এই ধরনের সিদ্ধান্ত দলীয় শৃঙ্খলা ও ঐতিহ্যের পরিপন্থি। তারা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে অনতিবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যথায়, তৃণমূলের নেতাকর্মীরা সংগঠনের স্বার্থে কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবেন বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
.jpg)
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে আরাফাত হোসেন দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমার নাম আরাফাত রহমান, হোসেন না। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। যার কথা বলা হচ্ছে, সে এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র এবং মিঠুন ব্যানার্জীর কমিটিতে ছিল।
আমি নিজে সাতক্ষীরা ডে নাইট কলেজ থেকে পড়াশোনা করেছি এবং সেখান থেকেই এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছি।
তিনি আরও বলেন, ছাত্রলীগের সরকারি কলেজ কমিটির যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, সেটা এডিট করে আমার নাম বসানো হয়েছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে বিতর্কিত করতে মিথ্যাচার করা হয়েছে এবং সেই তালিকা বানানো হয়েছে।