Image description

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেছেন, আপনি শহীদের রক্তের পথ ধরেই দায়িত্ব প্রাপ্ত হয়েছেন। তাই শহীদ পরিবারের সঙ্গে কথা না বলে আপনি যেতে পারেন না। আপনার সঙ্গে দেশের সিংহভাগ মানুষ রয়েছে।

শুক্রবার (২৩ মে) বিকেলে রাজধানীর পল্লবীতে হীড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল মাঠে পল্লবী মধ্য থানা জামায়াত আয়োজিত এক সহযোগী সদস্য সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

থানা আমির রইসুল ইসলাম পবনের সভাপতিত্বে এবং থানা সেক্রেটারি জোবায়ের হোসাইন রাজনের পরিচালনায় সম্মেলনের বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দীন মানিক, ঢাকা-১৬ আসনের সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী কর্নেল (অব.) এম আব্দুল বাতেন ও ঢাকা মহানগর উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য নাসির উদ্দিন।

সেলিম বলেন, দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থেই উপদেষ্টাদেরকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে এবং প্রধান উপদেষ্টার টাইমফ্রেমের মধ্যেই নির্বাচন হতে হবে। এখানে যদি, কেন ও কিন্তুর কোনো সুযোগ নেই।

তিনি রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার ও গণহত্যাকারীদের বিচার দৃশ্যমান করার পর অতি দ্রুত নির্বাচন দিতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।

 

dhakapost

নবী-রাসুলদের আদর্শে দেশকে ন্যায়-ইনসাফভিত্তিক একটি কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য জামায়াত আপসহীন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে সেলিম উদ্দিন বলেন, ইসলাম একটি কালজয়ী ও শাস্বত জীবনাদর্শ। মানবজীবনের সব সমস্যার সমাধান ইসলামের রয়েছে। আল্লাহ যুগে যুগে নবী-রাসুল প্রেরণ করেছেন অন্য সব দ্বীনের ওপর দ্বীনে হক্ব তথা ইসলামকে বিজয়ী করার জন্য। জামায়াত এ দেশে আল্লাহর আইন ও সৎলোকের শাসন প্রতিষ্ঠার করে ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সব মানুষের অধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করতে চায়। আমরা এমন এক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চাই, যে সমাজে সততা, যোগ্যতা ও তাক্বওয়া অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব প্রদান করা হবে। সেখানে কোনো ধর্ম, মত ও পথকে প্রাধান্য দেওয়া হবে না, বরং সব ক্ষেত্রে সততা, দেশ ও জাতির প্রতি দায়বদ্ধতাই হবে যোগ্যতার মানদণ্ড।

তিনি বলেন, জামায়াত চায় মানুষ তাদের মনের কথা নির্বিঘ্নে এবং স্বাধীনভাবে বলুক এবং সব ক্ষেত্রে সুবিচার ও ইনসাফ নিশ্চিত হোক। সব শ্রেণির নাগরিকের মধ্যে শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও পারস্পরিক আন্তরিকতা প্রতিষ্ঠা হোক।

জামায়াতে ইসলামীর এ নেতা বলেন, জামায়াতের বিরুদ্ধে অতীতের মতো এখনো ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। অতীতে জামায়াতকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের অপবাদ দিয়ে সাবেক আমির জামায়াত মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, নায়েবে আমির আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী, অর্থনীতিবিদ মীর কাশেম আলী, প্রখ্যাত বুদ্ধিজীবী মোহাম্মদ কামারুজ্জামান ও আব্দুল কাদের মোল্লাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে শহীদ করা হয়েছে। ফ্যাসিস্টরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করেছিল। সময়ের ব্যবধানে তারা এখন দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে।

এখন তারা পরাজয় সইতে না পেরে আবার ভারতের চক্রান্তে বাংলাদেশে ফিরে আসার অপকৌশল চালাচ্ছে। তাদের এ দেশের মানুষ কোনোভাবেই আর মেনে নেবে না, বরং যেকোনো মূল্যে তাদের আগমনকে প্রতিহত করবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।